ঢাকা : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক ও শক্তিমান অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি....রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। এ সময় তার পাশে ছিলেন তার দুই ছেলে নায়ক বাপ্পারাজ ও নায়ক সম্রাট।
ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া বিভাগের পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান শুভ বাসস’কে জানান, আজ বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে নায়করাজকে অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে আনার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু তার পালস ও রক্তের চাপ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ডাক্তারগণ ৬টা ১৩ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নায়ক রাজ্জাকের ছেলে বাপ্পারাজ বলেন, বিকেলে বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫টা ২০ মিনিটে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই বাবা মারা যান। তিনি তার বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন জানান, গুরুতর অসুস্থাবস্থায় তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তার জীবনাবসান ঘটে।
তিনি বলেন, এ মহানায়কের মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গণসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রাঙ্গনও শোকে মুহ্যমান হয়ে পরেছে।
এ মহান অভিনেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আরো শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারত) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় সরস্বতি পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক ‘বিদ্রোহী’তে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে পদার্পণ।