ফাইল ছবি
ঢাকা : সামনেই পর পর বেশ কয়েকটা ছুটির দিন। তার সঙ্গে আরও দুয়েকটা দিন জুড়ে ফেলে যদি তৈরি করে নিয়ে পারেন টুকরো অবকাশ, চলে যেতে পারেন ডুয়ার্সের সামসিংয়ে। ছোট এই পাহাড়ি জায়গাটা প্রকৃতিপ্রেমিকদের ভাল লেগে যাবেই!
সামসিং এমনিতে ভারী শান্ত। শহরের গোলমাল, ধুলো-ধোঁয়া থেকে দূরে, নিশ্চিন্তে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ। পাহাড়ি জায়গা। ফলে ছোটখাটো ট্রেক সেরে নিতে পারবেন। পথে পড়বে ছোট ছোট ঝরনা। পাহাড়ের গায়ে জড়িয়ে রয়েছে চা-বাগান। চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো দৃশ্য! জঙ্গলে দেখতে পাবেন নানা ধরনের পাখি আর প্রজাপতির মেলা। বার্ড ওয়াচিং যাঁদের হবি, সামসিং তাঁদের জন্য দারুণ ট্যুরিস্ট স্পট। তাঁদের জন্যই বলে রাখা যাক, গ্রে নাইট জার, গ্রেটার র্যাকেটেড টেল ড্রংগো কিংবা অ্যাশি বুলবুলের মতো পাখিরা এখানে হামেশাই উড়ে বেড়ায়। তাই ক্যামেরা সঙ্গে নেবেন মনে করে!
আরও একটা রং সামসিংয়ে চোখে পড়বে। কমলালেবুর রং! সামসিংয়ের খাসমহল এলাকা বিশেষ করে বিখ্যাত কমলালেবু চাষের জন্য। এলাচের চাষও সামসিংয়ের অধিবাসীদের উপার্জনের অন্যতম প্রধান উপায়। খাসমহল পেরিয়ে যেতে পারেন মূর্তি নদীর ধারে। সূর্যাস্তের সময় গেলে পাহাড় আর সবুজের আবহে এই নদীর দৃশ্য সত্যিই থমকে দেয়। মূর্তি নদীর ধার পিকনিক স্পট হিসেবে বিখ্যাত। আশপাশের লোকজনও এখানে খানিক হইচই করে সময় কাটিয়ে যেতে আসেন। কাছেই রকি আইল্যান্ড। মূর্তি নদী দেখতে গেলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
সামসিং থেকেও ঘুরতে যাওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে— যেমন সুনতালেখোলা নেচার ক্যাম্প কিংবা নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। নানা ধরনের পশুপাখির বাস এই পার্কে।
হাতে একটু সময় নিয়ে গেলে মিস করবেন না। সামসিংয়ে এখন একাধিক হোম-স্টে হয়েছে। সেখানে থাকলে স্থানীয় মানুষজন, সংস্কৃতি, খাবার-দাবারের সঙ্গে পরিচয়টাও ভালভাবেই হয়ে যাবে!
কীভাবে যাবেন: শিলিগুড়ি হয়ে গাড়িতে যাওয়া যায়। এ ছাড়া ট্রেনে করে গেলে নিউ মাল জংশনে নেমে সেখান থেকেও গাড়ি নিতে পারেন।
কোথায় থাকবেন: হোটেল এবং হোম-স্টে রয়েছে একাধিক। পকেট বুঝে বেছে নিন!