ফাইল ছবি
ঢাকা : বাংলাদেশে কিশোরীদের রক্তস্বল্পতাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা প্রবল। প্রথম মাসিকের পর কিশোরীদের রক্তস্বল্পতার হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
এসময় তাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় চিকিৎসা নিবিড়ভাবে প্রয়োজন। কারণ তারা না-শিশু, না-প্রাপ্ত বয়স্ক। কিশোরীদের বিয়ের বিষয়টি সবদিক থেকে ক্ষতিকর। বিশেষ করে কিশোরী মায়েদের ক্ষেত্রেই মাতৃমৃত্যু এবং নবজাতক মৃত্যু উভয়ই বেশি হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় কিশোরীদের রক্তস্বল্পতার হার সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ। ১২ থেকে ১৯ বছরের অবিবাহিত ও বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার ৩৫ শতাংশ এবং ১০ থেকে ১১ বছরের কিশোরীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার ১৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এডোহার্টস বেইজলাইন সার্ভের ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ এ সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এডোহার্টস প্রকল্পভুক্ত চারটি জেলায় এ সার্ভে পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এডোহার্টস বেইজলাইন সার্ভের ফল প্রকাশিত হয়। সেমিনারে সভপাতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ ও সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারওয়ার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টর (এমসিআরএএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব অ্যানি ভেস্টজেনস এবং ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্ট।
সার্ভের ফলাফলে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের প্রায় অর্ধেক কিশোর-কিশোরী অপুষ্টিতে ভুগছেন। তবে ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোরদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার অপেক্ষাকৃত কম।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য কিশোর-কিশোরীরা সরকারি সেবা কেন্দ্র কম ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সরকারি সেবা কেন্দ্রগুলোর প্রস্তুতির অভাব রয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, বর্তমান বিশ্বে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন কিশোর-কিশোরী রয়েছে। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৩৬ মিলিয়ন। কিশোর-কিশোরীরা সবচেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারওয়ার বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বহুমাত্রিক.কম