Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

গরমের সঙ্গে বাড়ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি ও ফ্যান বিক্রি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৯ মে ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

গরমের সঙ্গে বাড়ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি ও ফ্যান বিক্রি

ঢাকা : চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে ঘরে ও বাইরে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তাপমাত্রা প্রতিদিনই ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাঁটা ছুইছে। যা কিনা সহসা কমারও লক্ষণ নেই। আর তীব্র গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুমগুলোতে।

কিনছেন এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার, টেবিল ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, রিচার্জেবল ফ্যানের মতো রুম ঠান্ডা রাখার এ্যাপ্লায়েন্সেস। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা পানির জন্য ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে ফ্রিজ। আর এসব কেনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্রেতাই বেছে নিচ্ছেন দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের শোরুমে ক্রেতা উপস্থিতি বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট ইলেকট্রনিক্স দোকেনে ক্রেতা সমাগম হচ্ছে ব্যাপক। সেই সঙ্গে চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিক্রেতারা। তবে, সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণগতমানের ফ্রিজ, এসি, ফ্যান ইত্যাদি পণ্য বাজারে নিয়ে আসায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের দিকেই ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতা ভিড় করছেন ওয়ালটন শোরুমে। কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করায় বাড়তি ক্রেতা চাহিদা ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বক ইভা রিজওয়ানা বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার গরম বেশি। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রিজ, এসি, এয়ার কুলার, ফ্যান, জুসার ইত্যাদির বিক্রি বাড়ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ গুণগতমানের নতুন নতুন মডেলের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করায় ক্রেতারা ওয়ালটন ব্র্যান্ডকেই বেছে নিচ্ছেন।

ওয়ালটন বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, গরমকে সামনে রেখে পণ্যের বিশাল মজুদ গড়ে তুলেছে ওয়ালটন। ফলে বাড়তি চাহিদা ভালোভাবেই শামাল দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তার ধারণা- প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বিক্রি হবে ওয়ালটন পণ্যের।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানান, উৎপাদনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের ব্যবহার, আন্তর্জাতিকমান বজায়, সাশ্রয়ী মূল্য, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যবহার, কম্প্রেসারে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাসের ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তায় হোম সার্ভিসসহ দেশব্যাপী সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় স্থানীয় বাজারে বিশাল ব্যবধানে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।

ওয়ালটনের এসি বিপণন বিভাগের প্রধান আব্দুল বারী জানান, সারাদেশে ওয়ালটন এসির চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। চলতি সপ্তাহে তাদের এসি বিক্রি হয়েছে আগের সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুন। মূলত, সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন নতুন মডেল ও প্রযুক্তির এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করায় ওয়ালটন এসি বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে।

তার মতে, এর মধ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বিক্রি হচ্ছে বেশি। ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি থাকায় ক্রেতারা সেটি বেশি কিনছেন। তার প্রত্যাশা- চলতি সপ্তাহে এসি বিক্রি আরো বাড়বে। এছাড়াও, বাজারে ওয়ালটনের ১ টনের এসি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ হাজার টাকায়। ১.৫ টন ও ২ টনের এসি পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ৪৩,৯০০ টাকা ও ৫৪,৬০০ টাকায়।

আব্দুল বারী আরো বলেন, ওয়ালটন এসিতে রয়েছে সঠিক বিটিইউ। এছাড়া ইনভার্টার কম্প্রেসার ও গোল্ডেন ফিন প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ গুণগতমান, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান, সহজ শর্তে কিস্তি সুবিধা এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট থাকায় ওয়ালটন এসি গ্রাহকপ্রিয়তা বেশি।

ওয়ালটনের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো. মাশরুর হাসান বলেন, এ সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি এয়ার কুলার বিক্রি করেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ১৪ হাজার টাকা মূল্যে ৩০ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কুলার বাজারজাত করছে।

ওয়ালটনের সহকারী পরিচালক ও ফ্যানের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো. ইবনে জাবেল বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্রাহক পর্যায়ে ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরণের ফ্যানের কদর বেড়েছে। যার ফলে- চলতি সপ্তাহে সারা দেশে ১৩ হাজারেরও বেশি সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, দেয়াল ফ্যান ও রিচার্জেবল ফ্যান বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সামনের দিনগুলোতে বিক্রির আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৬৬ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। শিগগির আরো ৭টি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হবে। এর বাইরে ৩০০ টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমেও গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়া হচ্ছে। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫’শর বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।

 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer