ঢাকা : ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী বলেছেন, খরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কিছু নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে পানি এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি পরিকল্পনাকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এসব নদীর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন নদী গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রও রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা’র
স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহতম খরায় ভারতে এক বছর ৩৩ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত উত্তর এবং পূর্বাঞ্চল থেকে নদীর পানি দক্ষিণ ও পশ্চিমে শুষ্ক এলাকায় প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
ভারতের নদী সংযোগের এই পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের গুরুতর আপত্তি রয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় এধরনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন বহু পরিবেশবাদী। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এর বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পরই ভারত সরকার বিতর্কিত এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
খরা মোকাবিলার এক দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে ভারত বেশ কিছুকাল ধরেই ভাবনা চিন্তা চলছে প্রধান নদীগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ খাল তৈরি করার । এজন্য ৩০টি সংযোগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী উমা ভারতী বলছেন, এই প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো নিয়ে তারা এখনই কিছু করছেন না।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গঙ্গা বা ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথে যে কোনো প্রকল্প ভাটির দেশে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।