ছবি: বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিআরবি আজগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং দৌলতপুরে অবস্থিত পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তায় চিহ্নিত বধ্যভূমিতে দুটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠনিকভাবে এটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার এই স্মৃতিফলক দুটি স্থাপন করা হয়।
১৯৭১ : গণহত্যাণ্ড-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পোষকতায় পরিচালিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক নির্মিত দুটি শহিদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মাঃ ইব্রাহীম হোসেন খান এতে প্রধান াথিথি ছিলেন। এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সভাপতি, ১৯৭১ : গণহত্যাণ্ড-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। এ সময় তাঁরা এখানে উপস্থিত সুধী সমাবেশে যোগদান করে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জানান তিনি গর্বিত এ ধরণের একটি মহান কর্মসূচির অংশ হতে পেরে। বাংলাদেশের গণহত্যা বিষয়ে আরো কাজ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন জানান ; ১৯৭১ : গণহত্যান্ড-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর দেশের একমাত্র গণহত্যা-নির্যাতন বিষয়ক জাদুঘর। যা একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই ট্রাস্টের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ফলক নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বিভিন্ন সুধীজনের চাঁদার মাধ্যমে।
তিনি কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের পথে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করেন এবং কর্মসূচীটিকে প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানান। বিআরবি আজগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মল্লিক সুধাংশু এবং দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী পৃথক অনুষ্ঠান দুটির সভাপতিত্ব করেন।
বহুমাত্রিক.কম