ছবি: বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-৬ এর বিশেষ অভিযানে খুলনায় সোয়া ২ কেজি (২২৫০ গ্রাম) কোকেনসহ মাদক চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্য আটক হয়েছে। উদ্ধারকৃত কোকেনের আনুমানিক মূল্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। র্যাবের দাবি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোকেনের এতবড় চালান আটক এই প্রথম।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোকেনসহ তাদের আটক করা হয়। শনিবার দুপুরে র্যাব-৬ সদন দপ্তরে এ প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদক চোরাচালান চক্রের মূল হোতা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার দাউদখালী গ্রামের মৃত এম এ ওয়াহিদের ছেলে আরিফুর রহমান ওরফে ছগির (৬০), খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতী গ্রামের মো.শহীদ মল্লিকের ছেলে সোহেল রানা (৩৫), ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া গ্রামের মৃত কৃষ্ণ পদ বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫), খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ের আকাশ ইল্লিল ম্যানসনের বাসিন্দা মৃত শিকদার আইয়ুব আলীর ছেলে এস এম এরশাদ হোসেন (৪৮), দাকোপ উপজেলা সদর চালনার বৌমার বটতলা গ্রামের কৃষ্ণপদ ম-লের ছেলে বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল (৫৫) এবং একই উপজেলার মৌখালী গ্রামের মো.ইউনুস আলী ফকিরের ছেলে ফজলুর রহমান ফকির (৩৭)।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৬ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬এর কমা-িং অফিসার (সিও) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক চোরাচালান চক্রটির মূল হোতা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার দাউদখালী গ্রামের আরিফুর রহমান ওরফে ছগির খুলনা মহানগরীর ১৮/২ গগনবাবু রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভাড়া বাড়িতে থেকে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানির একটি টিম গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জানতে পারে খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড়ের মসজিদের দক্ষিণ পাশের আল-আরাফা এটিএম বুথের সামনে মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে চোরাচালানি চক্রের সদস্য সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে ২৩০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।
তারপর তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, এই চক্রের মূল হোতা আরিফুর রহমান ওরফে ছগির। এরপর ছগিরকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিয়ে রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে এই চক্রের অপর সদস্য বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।বিকাশের কাছ থেকে বাকি কোকেন উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে, চোরাচালান চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা উক্ত কোকেন বিক্রির চেষ্টা করে আসছিল। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬এর কমাণ্ডিং অফিসার (সিও) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দাবি করেন কোকেনের এতবড় চালান আটক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই প্রথম।
বহুমাত্রিক.কম