খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু ও পরাজিত প্রার্থী আওযামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ সেলিম আহমেদ পক্ষের সর্মর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শনিবার রাতে খালিশপুর থানার কাশিপুর পদ্মা-মেঘনা তেল ডিপো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়েছে। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ সেলিম আহমেদ পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমরান নামের একজনের কাছ থেকে ৭.৬২ বোরের পিস্তল পাওয়া যায়। সংঘর্ষে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম মুন্সি ও ওয়াদুদ মুন্সি বাবু নামের দুজন রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১জনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটককৃতরা হচ্ছেন কাশিপুর এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মাহফুজ (২২) , রাজা সর্দারের পুত্র পাপ্পু সর্দার (২১), আজিজুর রহমানের পুত্র খালিদ বিন ওয়ালিদ (২৬), মনির হোসেনের পুত্র মো. সুমন (২৭), শেখ বাদশার পুত্র মো. সানি (২৮) ও রফিকুল ইসলামের পুত্র মো. ইমরান হাসান (২৪)।
এলাকাবাসী জানায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনাম মুন্সি ইফতার শেষে হাজীবাড়ি সংলগ্ন মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন/চারজন যুবক এনাম মুন্সিকে মারপিট করে আহত করে।
এছাড়া মেঘনাগেট সংলগ্ন ওয়াদুদ মুন্সি বাবু নামের সাবেক এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে । পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭নং ওয়ার্ডে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খালিশপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন জানান এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম