খুলনা : আসন্ন কোরবাণী ঈদকে সামনে রেখে অস্থায়ী গবাদি পশুর হাট বসানোর জন্য অনুমতি নিতে একটি চক্র মাঠে নেমেছে। তারা বেশ আগে ভাগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন শুরু করেছে। প্রতিবছর জেলা, উপজেলা ও মহানগরীতে অস্থায়ী পশু হাট বসানোর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থায়ী পশুহাট ইজারা গ্রহিতারা।
উচ্চহারে পশুহাট ক্রেতারা কোরানী মৌসুমে তাদের ইজারামূল্য তোলার অপেক্ষায় থেকে অস্থায়ী হাট বসানোর কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত জোড়াগেটের পশুহাটের বিষয়ে সভা আহবান করা হয়েছে আগামী ১৬ জুলাই। এদিনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে এটি খোলা দরপত্রে ইজারাদার নিয়োগ করা হবে নাকি প্রতিবারের ন্যায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচঅীলত হবে।
জানা যায়, খুলনা জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির হাট বসে থাকে। নগরীর সবচেয়ে গবাদিপশুর হাটটি বসে খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হয় জোড়াগেট কাঁচা বাজারের স্থানে। ফুলবাড়িেেগটেও একটি পশু হাট বসে থাকে। এছাড়া জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া, শাহপুর, আঠারোমাইল, চুকনগর ও বানিয়াখালী। পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর, চাঁদখালী, কাঁচিকাটা, পাইকগাছা সদর। দাকোপ উপজেলায় বাজুয়া ও চালনা। কয়রা উপজেলার দেউলিয়া, গোবিন্দপুর, কালনা, ঘুগরাকাটি, মান্দারবাড়িয়া ও হোগলা। পুলতলা উপজেলার ফুলতলা সদর ও পথের বাজার।
দিঘলিয়া উপজেলার জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ ও এম এ মজিদ কলেজ মাঠ। তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা। বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা, খুটির হাট, উপজেলা সদর ও বারোআড়িয়া। রুপসা উপজেলার আমতলা তালিমপুর ও পূর্ব রুপসা।
গত বছর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক স্থায়ী পশুর হাট ও অস্থায়ী মিলে অর্ধশত পশু হাট বসে। জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে ২০টি অস্থায়ী পশু হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এছাড়া জেলার ৯ উপজেলায় ১৫টির মত স্থায়ী পশু হাট রয়েছে। যেখানে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে গরু, ছাগল, ভেড়া বিক্রি হয়ে থাকে।
অস্থায়ী পশুহাটের আয়োজক উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। তাদের একটি নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী নিয়োজিত থাকে যারা বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে গবাদি পশু জোর করে তাদের হাটে নামিয়ে নেয়। যারা গবাদি পশু কিনে নিয়ে আসে তাদের কাছ থেকে খাজনার নামে অর্থ আদায় করে। দিতে না চাইলে হেনস্থার শিকার এমনকি শারিরীকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনাও ঘটেছিল। এমন ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার সদরে পার্শ্ববর্তি একটি অস্থায়ী পশুহাটে। তাই এবার স্থায়ী পশুহাট ইজারা গ্রহিতাদের দাবি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন অস্থায়ী হাটের অনুমতি দেয়া না হয়। তাহলে স্থায়অ হাট ইজারাগ্রহিতারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহানাজ বেগম বলেন গুটুদিয়ায় একটি অস্থায়ী পশুহাট বসানোর জন্য আবেদন পত্র পাওয়া গেছে। সেটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন ও বিধিমোতাবেক না হওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্থায়ী গবাদি পশুর হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী পশুহাট বসে থাকে। এ বছর অস্থায়ী পশুহাট বসানোর কোন আবেদন পত্র পাওয়া যায়নি। আবেদন পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহিী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতামতের ভিত্তিতে সরকারী নীতিমালা অনুসরন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম