Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষমা চেয়ে রেহাই মিললো সিরাজগঞ্জের ডিসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ক্ষমা চেয়ে রেহাই মিললো সিরাজগঞ্জের ডিসির

ঢাকা : নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. শামীম আলম ও তারাশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিল্লুর রহমানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তাড়াশ উপজেলার মজিবুর রহমানকে ৩টি পুকুর ভোগ-দখলে বাধা না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে বৃহস্পতিবার আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. বদরুদোজ্জা বাবু। অপরদিকে জেলা প্রশাসকসহ ৩ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাড. শহিদুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান ও ব্যারিস্টার উপমা বিশ্বাস।

পরে অ্যাড. বদরুদোজ্জা বাবু জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার মজিবুর রহমান ইতোপূর্বে ৩টি পুকুর ভোগ-দখল করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা প্রশাসক পুকুরগুলি ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

এই বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মজিবুর রহমান সরকার। আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আবেদন মঞ্জুর করে পুকুরগুলি ইজারা না দেয়ার জন্য ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

এরপর উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ৩১ জানুয়ারি আবারও পুকুর ৩টি ইজারা দেয়ার জন্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা করেন মজিবুর রহমান সরকার। ওই আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত সিরাজগঞ্জের ডিসি, এডিসি, ও তারাশের ইউএনওকে তলব করেন।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer