ছবি : রেজাউল হাফিজ রাহী
ঠাকুরগাঁও : কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার দৃশ্যে মুগ্ধ এখন ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। আর এ দৃশ্য দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শহরের প্রায় অনেক জায়গায়।
গত কয়েক বছর ভালোভাবে দেখা না মিললেও এবার খালি চোখেই দেখা মিলছে সেই হিমালয় পর্বতের কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার। এমন একটি সময় ছিলো যে সময় হিমালয় পর্বতের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় যেতে হতো।
কিন্তু এখন ঠাকুরগাঁওয়ের শহরের চৌরাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, টাংগন ব্যারেজ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকার উঁচু জায়গা থেকেই ভোর বেলায় উত্তর দিকে তাকালেই ‘কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া’ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত ২০১৩ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আক্চা ইউনিয়নের বুঁড়ির বাঁধ এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার প্রথম ছবি ক্যামেরাবন্দী করেন প্রকৃতিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ভাইরালে পরিণত হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা আবু মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, গত বছর শীতের তীব্রতা বেশি থাকার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ভালোভাবে দেখা যায়নি। তবে এবার শীতের তীব্রতা কম থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়াটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
প্রকৃতি প্রেমী ও ফটোগ্রাফার রেজাউল হাফিজ রাহী বলেন, ২০১৩ সালে বুড়িরবাঁধ এলাকায় পাখির ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘার সর্বোচ্চ চূড়ার ছবিটি ক্যামারে বন্দি করি। এরপর সেটি ফেসবুক মাধ্যমে পোস্ট করি। এরপর থেকেই মানুষ জেনেছে শুধু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে নয়-ঠাকুরগাঁও থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া দেখা যায়। এরপর থেকেই মানুষ ঠাকুরগাঁওয়ে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা শুরু করে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, এতদিন শুনে এসেছি শুধুমাত্র তেঁতুলিয়া থেকে ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখা যায়। ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করার পর জেনেছি ঠাকুরগাঁও শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখা যাচ্ছে। আমি নিজেও এ জেলা থেকে অপরূপ এদৃশ্যে উপভোগ করেছি।
বহুমাত্রিক.কম