এখনও অনেক সময় রয়েছে বাকি
আরেকটু না হয় ঘুরে আসা যাক
ওখানে ঐ কংশের পাড়
বাঁকের খরা, শ্মশান ঘাট
ভয় কী যদি নামেই আঁধার,
চিতার আগুনে দেখে নেওয়া যাবে
বুকের ভেতর।
এখানে আকাশ নেই, পলাতক চাঁদ
ছায়া ফেলে উড়ে যায় প্রাচীন শকুন
ভয়ার্ত আদিম চিৎকারে কাঁদে
জ্যোৎস্নার ফসিল
‘বাঁচাও, বাঁচাও’ ডেকে ওঠে চিতায় শব।
নিমগ্ন চেতনায় তবু কড়া নাড়ে
কিছু ফুল আর স্মৃতির ফসিল
সহসা থমকে দাঁড়াই
আমার পায়ের মাটি
অকস্মাৎ ইনকার প্রাচীন প্রাসাদ।
তোমার চোখে এ কোন স্বপ্ন এখন,
এ কার চোখে ধ্বসে পড়ে স্বপ্নের সিঁড়ি,
বেলোয়ারি ঝাড়, নাচঘরে রুপোর আগুন
কেঁদে যায় এ কার পায়ের ঘুঙুর?
ধ্বসে যায় রাত
ধ্বসে পড়ে দিন
ইটের উপরে ইট
বুকের ভেতরে মুখ
মুহূর্তে স্থির ব্যবিলনের প্রমত্ত উল্লাস।
রাত্রির এ কোন প্রহরে
ঘুমিয়ে এখন মহেঞ্জোদারো।
অনেক হয়েছে রাত,
চলো তবে ফিরে যাই
অনেক কাজ রয়েছে পড়ে
ঘুমুবার আগে শেষ করে নিতে হবে সব।
এখানে জেগে থাকা ভীষণ কঠিন
ঘুমুতে-পারা তারও চেয়ে বেশি
শুধু স্বপ্নের ভেতর হামাগুড়ি দেওয়া
সহজ এখানে আর বিছানায় এপাশ-ওপাশ।
কংশ এখন জ্বলন্ত চিতা
মহেঞ্জোদারো আর কত দূর?
বহুমাত্রিক.কম