Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

এশিয়ার বৃহত্তম সেই আমগাছে আমের সমারোহ

মোঃ রাসেদুজ্জামান সাজু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৮ মে ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

এশিয়ার বৃহত্তম সেই আমগাছে আমের সমারোহ

ছবি-বহুমাত্রিক.কম

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের অতি পরিচিত সেই বৃহত্তম সূর্যমূখী আমগাছে বর্তমানে আমের সমারোহ। প্রতিবারের মত এই প্রাচীন সূর্যমূখী আমগাছটিতে এবার ভাল আমের ফলন হয়েছে।

গাছটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিনমারী (নয়া পাড়া) নামক গ্রামে অবস্থিত। এই গাছটি ৪০ শতক জমি দাড়া বিস্তৃত। গাছটির আনুমানিক বয়স ২০০ শত বছর পুরনো। বর্তমান এই প্রাচীন সুর্যমূখী গাছটির মালিক সাইদুর রহমান (মোল্লা) ও নুর ইসলাম। তারা দু জনই সহোদর।

গাছটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, বাপ দাদার আগের আমলে এই গাছ এখন আমরা দেখাশুনা করছি। আর আমের মৌসুম আসলে গাছে মুকুল আসার সাথে সাথে গাছটি নিলাম ডেকে দেওয়া হয়।
এবার নিলামে প্রায় দেড় লক্ষ্য টাকায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যাবসায়ী গাছটি নেয়।

ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রায় দেড় লক্ষ্যটাকায় প্রাচীন এই সূর্যমূখী গাছটি আমি ৩ বছরের জন্য নিলামে ডেকে পেয়েছি। তিনি আরোও বলেন এই সূর্যমূখী আমগুলো অনেক ভাল মানের হয় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এই সূর্যমূখী আমগুলো যায়। তার কাছে এবার কি পরিমাণ আম হবে জানতে চাইলে তিনি জানান আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ মন আম হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গাছটিতে আমের ফলন ভাল হয় তবে কিছু পোকামাকড়, বাদুড় ও পাখির জন্য কিছু আম নষ্ট হয়। এইজন্য নিয়মিত আমের যাতে ক্ষতি না হয় দুইজন লোক সবসময় গাছটি নজরে রাখছেন। এদেরকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।

গাছটির মালিক মোল্লা জানান, প্রাচীন এই সূর্যমূখী দেখতে বছরে প্রায় দেশ ও বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। তবে ফলের মৌসুমে দর্শনার্থী কম হয়। গাছটি দেখার জন্য টিকিট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গীর হরিনমারীর নয়াপাড়ার সাধারণ মানুষও গর্ববোধ করেন এই আম গাছটি নিয়ে, তাদের অনেকেই দূরের কাউকে পরিচয় দিতে গিয়ে বলে থাকেন আম গাছটির কথা।  

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer