ছবি : বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আশা এনজিও কর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (মুন্নি)র খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নিহত সাবিনার পরিবার, এলাকাবাসী ও আশাকর্মীরা।
মানববন্ধনে এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, নিহত সাবিনার স্বামী জাহিদুল ইসলাম, বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সনি, ছোট বোন শাহানা বেগম, এলাকাবাসির পক্ষে মো. নূরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
বক্তারা এসময় আশা এনজিও এর সিনিয়র লোন অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি’র খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সেই সাথে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী এবং বাকী খুনিদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মুন্নির স্বামী জাহিদুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীকে যারা খুন করেছে তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে এর সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকী খুনিদের গ্রেপ্তারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আমি দাবি জানাই বাকী খুনিদের প্রশাসন দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মুন্নির বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সনি জানান, পৃথিবীতে আমার মা আমার কাছে সব ছিল। কিন্তু আমার মাকে বেঁচে থাকতে দিলনা পাষন্ডরা। কেন তাকে হত্যা করা হলো। তা এখনো আমরা জানি না। আমার মাকে যারা খুন করেছে তারা কেউ যেন রেহায় না পায়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন বাকী খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দেয় তার দাবি জানাই।
সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নির ছোট বোন শাহনা বেগম জানান, আমার বোনকে হত্যা করার এতদিন পেরিয়ে গেলেও বাকী খুনিদের এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। আমাদের সকলের দাবি বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
মানববন্ধনে এসময় আশা এনজিও এর ম্যানেজার (বিকেএসপি শাখা) মো. আব্দুল মজিদ জানান, সাবিনা ইয়াসমিন আশা এনজিও এর বিকেএসপি শাখার সিনিয়ির লোক অফিসার ছিলেন। এ শাখায় তিনি গত ১৬ সেপ্টেম্বর যোগ দেন। এ মাসের ১২ অক্টোবর ঋণের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে খুন হন। এ খুনের সাথে যারা জড়িত আমাদের পক্ষ থেকে তাদের ফাঁসি দাবি করছি। সেই সাথে আশা এনজিও এর নিয়মানুসারে এখানে কর্মরত অবস্থায় যদি কেউ খুন হন কিংবা মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার পরিবার এককালীন ১৫ লাখ টাকা পাবেন। যা আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই পরিশোধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর সাবিনা আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার মুসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। সাবিনা নিখোঁজের ঘটনায় আশা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
পরে সেলফোনের ব্যবহারে সাবিনার সর্বশেষ অবস্থান কবিরপুরের মোসলেমের বাড়ি পাওয়া যায়। এরপর মোসলেম ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সাবিনাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রেখেছে বলে স্বাীকার করেন।
পরে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ১৮ অক্টোবর বুধবার রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশের একটি জমি থেকে মাটি চাঁপা অবস্থায় সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বহুমাত্রিক.কম