ছবি: বহুমাত্রিক.কম
রাঙ্গামাটি : অব্যাহত প্রবল বর্ষণের কারণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি এলাকার বিচ্ছিন্ন সড়কটি পূণ:স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে না পারার কারণে গত ৭ দিন যাবত রাঙ্গামাটির সাথে সারা দেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো বন্ধ আছে।
১৩ জুন প্রবল বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে রাঙ্গামাটি থেকে ঘাগড়া অংশ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার উপর পাহাড় ধ্বস এবং রাস্থার পাশ্ববর্তী অংশ ভেঙ্গে পড়ার কারণে এই পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দূর্যোগের পরপরই স্থানীয় জনগনের সহায়তায় সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন স্থানের ঝুকিপূর্ণ অংশের রাস্তার সংস্থার কাজ সম্পন্ন করলেও সাপছড়ি শালবাগান এলাকার প্রায় ১৫০ মিটার সড়ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়ায় এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার সকালে রাংগামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ির ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা গেছে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিকল্প উপায়ে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে রাস্তা বানানোর কাজ করছে। সাথে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মী। তবে বৃষ্টির কারণে তাদের কাজের অগ্রগতি মারাত্নক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে নতুন করে যে অংশের মাটি কাটা হচ্ছে তা আবার ভেঙ্গে পড়ছে। সেখানে দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবির দলনেতা মেজর ইফতেকার জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বৃষ্টি না হলে সোমবার বিকালের মধ্যেই সড়কের বিকল্প ছোট্ট একটি পথ সৃষ্টি করে হাল্কা যানবাহন চলাচল এর প্রস্তুতি নেওয়া হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে এই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প উপায়ে স্বল্প পরিসরে যান চলাচল চালু করা যাবেনা। সড়ক এবং জনপথ বিভাগ, রাঙ্গামাটি নির্বাহী প্রকেৌশলী এমদাদুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী এবং সওজের যৌথ প্রচেষ্টার পরেও প্রতিকূল আবহাওয়া কারণে সড়কের এই অংশটি চালু করা যাচ্ছে না । তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২ হতে ৩ দিনের মধ্যে এই অংশে স্বল্প পরিসরে হাল্কা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে সড়কের এই অংশ দিয়ে যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী ট্রাক কখন চলাচল করতে পারবে সে বিষয় তারা সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, সড়কের এই অংশসহ রাঙ্গামাটি-ঘাগড়া অংশের একাধিক অংশে বড় ধরনের সংস্থার এবং রাস্তার পার্শ্বে প্রতিরক্ষা দেয়াল দেয়া না না গেলে এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল সম্ভব হবেনা।
তবে সড়কের এই অংশ দিয়ে লোকজনদের পায়ে হেটে পথ পাড়ি দিতে দেখা গেছে। পাহাড়ের উঁচু নিচু অংশ পাড়ি দিয়ে বিপদসংকুল অবস্থায় অনেকে সড়কের এই ঝুকিপূর্ণ অংশ পাড়ি দিচ্ছে।
বহুমাত্রিক.কম