খুলনা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবীর রিজভী নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে নির্বাচন পরিচালনার ভার দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনগনের ক্রোধ এতো তীব্র এতো লেলিহান হবে যে র্যাব-পুলিশ-আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েও নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন না।
শনিবার খুলনায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর ইউনাইটেড ক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বাকশালের নতুন সংস্করণ কায়েম করতে চলেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগ সব কিছুই তিনি একক নিয়ন্ত্রণে নিতে চান।
প্রধান বিচারপতি মনে করেছিলেন, ষোড়শ সংশোধনীর ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে। এ নিয়ে কথা বলায় তাকে শুধু পদ নয়, দেশ ছাড়তে হয়েছে। এখন একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে এবং ইভিএম’এ ভোট হবেনা। কিন্ত এ কথা শেখ হাসিনা শুনতে চাননা। আমরা জানি না তার পরিণতি কি হবে? প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। তার অধীনে নির্বাচন হলে ভোটের আগের রাতেই নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলা হবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার চরম ক’টনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন দাবি করে রিজভী বলেন, তাদের পাশে কেউ নেই, এমনকি অতি মিত্র ভারতও নেই। ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুধু মুখেই বড় বড় কথা বলেন। কিন্ত দেশের কোথাও উন্নয়ন নেই।রাস্তার অবস্থা এতোই বেহাল যে, যশোর থেকে খুলনা আসতে হয়েছে মহাসড়ক ছেড়ে গ্রামের ভেতরের পথ দিয়ে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, খান রবিউল ইসলাম রবি, আমীর এজাজ খান, খান জুলফিকার আলী জুলু, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুজ্জামান মন্টু, খান আলী মুনসুর, শেখ আব্দুর রশিদ, চৌধুরী কওসার আলী, আবু হোসেন বাবু, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, শামীম কবীর, খায়রুল ইসলাম খান জনি, ইমদাদুল হক, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, মোল্লা সাইফুর রহমান, উজ্জল কুমার সাহা, তৈয়েবুর রহমান, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ফারুক হুসাইন।
বহুমাত্রিক.কম