ঢাকা : নরসিংদীর উয়ারি-বটেশ্বরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে “উয়ারি দুর্গ নগর উন্মুক্ত জাদুঘর”। পর্যটক চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ঐতিহ্য অন্বেষণ এ জাদুঘর বাস্তবায়ন করেছে।
দেশের প্রথম এ উন্মুক্ত জাদুঘর দেখে পর্যটকরা তিন থেকে চার হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস উপলব্ধি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাচীন মহা-জনপদ, রাজধানী ও একটি দুর্গ নগর নিয়ে উয়ারি-বটেশ্বর। দুই হাজার সাল থেকে পর্যায়ক্রমে খননে পাওয়া গেছে আড়াই হাজার বছরের পুরনো ইট-সুরকির রাস্তা, আর্য আমলের নিদর্শন, নান্দনিক অলঙ্করণ সমৃদ্ধ বৌদ্ধ মন্দিরসহ নানা প্রাচীন নিদর্শন। তবে অর্থের অভাবে অনেক দিন মাটিচাপা ছিল আবিষ্কৃত এসব নিদর্শন। এতে পর্যটকরা উয়ারি-বটেশ্বর পরিদর্শনে এসে কিছুই দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতেন। পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে `উয়ারী বটেশ্বর দুর্গ নগর উন্মুক্ত জাদুঘর` প্রতিষ্ঠা করে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র `ঐতিহ্য অন্বেষণ`।
উয়ারি-বটেশ্বরের প্রত্ন সংগ্রাহক মো: হাবিবুল্লাহ পাঠান বলেন, `আবিষ্কৃত প্রত্ন সম্ভারগুলো প্রদর্শন করাতে পারলে যে ধরণের সুবিধা হতো সেগুলি করা যাচ্ছে না। এছাড়া এটি সংরক্ষণ করতে হলে স্থায়ী ব্যবস্থা করা দরকার যা অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ।`
`উয়ারী বটেশ্বর দুর্গ নগর উন্মুক্ত জাদুঘর` প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিদর্শন সম্পর্কে এক সঙ্গে ধারণা পাচ্ছে দর্শনার্থীরা।
এই জাদুঘরটি দেশের প্রথম দাবি করে ঐতিহ্য অন্বেষণ কর্তৃপক্ষ বলছে, উয়ারী বটেশ্বরে পর্যায়ক্রমে আরও ২০টি জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।ঐতিহ্য অন্বেষণের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, `বৌদ্ধ পদ্ম মন্দির যাদুঘর এবং ভাই গ্রিস চন্দ্র জাদুঘরের কাজও শেষ পর্যায়ে। এভাবে আরও অনেক জাদুঘর হবে।`
উন্মুক্ত জাদুঘরে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রত্নবস্তু ও মডেল, রেপ্লিকা, প্রত্নবস্তুর আলোকচিত্র, বিবরণ, বিশ্লেষণ। সেই সাথে প্রতি ঘন্টায় উয়ারী বটেশ্বর ডকুমেন্টারি ও ধারণকৃত প্রত্ননাটক প্রদর্শনের ব্যবস্থাও আছে এখানে।