ঢাকা : বৃষ্টি না হলে ঈদের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের যে সড়কাংশগুলো ভেসে গেছে তা সংস্কার করা হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়ক যান চলাচলের উপযোগি রাখতে দিনরাত কাজ চলছে।
মন্ত্রী আজ রোববার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে বন্যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতি এবং ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশব্যাপি বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৩টি পয়েন্টে এক থেকে তিন কিলোমিটার এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। এছাড়া বন্যার পানির প্রবল তোড়ে ভেসে গেছে উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১৮টি স্থানের সড়কাংশ।
তিনি বলেন, মহাসড়কের উপর কিংবা পাশে কোরবানির পশুরহাট বসানো যাবে না এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু বহন করা যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় চাপ কমাতে গার্মেন্টসগুলো অঞ্চল ভেদে ভিন্নভিন্ন দিনে ছুটি দেয়ার জন্য বিজিএমইএ’কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগে পাঁচদিন এবং পরে পাঁচদিন সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন সিএনজি স্টেশনসমূহ চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখার বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, যানজট এড়াতে ঈদের আগে তিনদিন ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যানসহ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া ঈদযাত্রায় পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মহানগরীর বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিম কার্যকর থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহি পরিচালক সৈয়দ আহম্মদসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিনস্থ সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।