ঢাকা: এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়া নাজরীন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মর্যাদাপূর্ণ ‘ইমার্জিং এক্সপ্লোরার’ পুরস্কার জিতেছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে অলাভজনক এ সংস্থাটি চলতি বছর পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১৩ জন অভিযাত্রী, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পরিবেশবিদ ও লেখকের নাম ঘোষণা করে।
‘প্রথাবিরোধী ভাবনা ও উদ্ভাবনী’ কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘বিশ্বকে বদলে দেওয়া’র স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর ১৩ জনকে ‘ইমার্জিং এক্সপ্লোরার’ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ তালিকায় আরও আছেন শ্রীলঙ্কার সমুদ্র গবেষক আশা দে ভোস, কানাডার জৈবিক নৃতত্ত্ববিদ মেরিনা এলিয়ট, চীনা পরিবেশবাদী গাউ ইউফাং, ইন্দোনেশিয়ার পানুত হাদিসিসইও, যুক্তরাষ্ট্রের বন্যপ্রাণ অপরাধ তদন্ত কর্মকর্তা নাফতালি হনিগ।
আছেন তাইওয়ানের প্রকৌশলী আর্থার হং, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী জেদিদা আইলার, জাপানি নৃতাত্ত্বিক ইউকিনরি কাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ডেভিড ল্যাং, ভূ-জীববিজ্ঞানী জেফ্রি মারলো, জাম্বিয়ার জীববিজ্ঞানী থান্ডিউ মোয়েতয়া ও কানাডার নৃতত্ত্বাকি জেনেভাইব পিটজেইঙ্গার।
পুরস্কার হিসেবে এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী নেল এ ধরনের পুরস্কার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘নতুন নেতৃত্ব’ তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তরুণ বিজ্ঞনীদের ‘পর্যবেক্ষণও অনুসন্ধান’ নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
তিনি বলেন, ১২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানী, অভিযাত্রী ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদীদের উৎসাহিত করতে কাজ করে আসছে সোসাইটি, যারা জানার সীমানাকে আঘাত করছে, নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করছেন এবং সৃজনশীল উপায়ে আমাদের পৃথিবীর বড় বড় সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছেন।
‘ইমার্জিং এক্সপ্লোরার’ কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ বিজ্ঞানী, পরিবেশ সংরক্ষণবাদী ও উদ্ভাবকদের চিহ্নিত ও পুরস্কৃত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি; যাদের আবিষ্কার ও দুঃসাহসিক কাজ বৈশ্বিক সমস্যা নিরসনে যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।
গত বছর পৃথিবীর সাত মহাদেশের দুর্গম ৭টি পর্বতশৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যপূরণ করায় এ বছরের তালিকায় ওয়াসফিয়ার নাম এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেন।
‘দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য’ ওয়াসফিয়াকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি।