ছবি: বহুমাত্রিক.কম
ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানির নির্দেশে সরকারি মেহগনি গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ইউনিয়নের কাচাবালিয়া বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। কর্তনকৃত গাছটি ঝালকাঠি বনবিভাগ উদ্ধার করে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখেছে।
স্থানীয় এক গাছ ব্যাপারী জানান, কর্তনকৃত গাছটির দাম ২০ হাজার টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মানিক জানান, দরিদ্র ছোমেদ হাওলাদার (৫৫) এর জমিতে বেশ কয়েকবছর পূর্বে তার মেহগনি গাছ লাগান। পরবর্তিতে সৃজিত গাছের জমি রাস্তা সংলগ্ন থাকায় সরকারি রেকর্ডে চলে যায়। ছোমেদ দরিদ্র হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছে গাছটি কেটে নেয়ার জন্য অনেকবার অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান মানবিক দৃষ্টিতে তাকে গাছ কেটে নেয়ার মৌখিকভাবে অনুমতি দেন।
দরিদ্র ছোমেদ হাওলাদারের স্ত্রী জানান, আমরা গরীব। মানুষের বাসায় কাজ করে সেই টাকা দিয়ে মেয়েকে এইচএসসি পাশ করিয়েছি। টাকা নাই তাই কোন চাকরিও দিতে পারি নাই। এখন মেয়েকে বিবাহ দিতে হবে। আমাদের ঘরও নেই। তাই ঘর উঠানোর জন্য চেয়ারম্যানের কাছে অনেকবার গিয়েছি। তাতে আমার ২শ’ টাকার উপরে গাড়ি ভাড়াও গেছে। চেয়ারম্যান ঘর উঠানোর জন্য আমাদের গাছ কেটে নেয়ার নির্দেশ দেন। তাই আমরা তার নির্দেশ পেয়ে গাছ কাটি।
সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বাকলাই জানান, সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ পেয়ে সেখানে লোক পাঠাই। তিনি গিয়ে গাছ উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় গাছ রেখে জিম্মানামা নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানি জানান, ছোমেদ ও তার স্ত্রী আমার কাছে অনেকবার এসেছে গাছটি কেটে ঘর উঠানোর জন্য। আমি ওদের গাছ কেটে নেয়ার মৌখিক অনুমতি দিয়েছি। তারপরেও বলেছিলাম বনবিভাগের সাথে আলাপ করে কাটার জন্য। পরে তারা কি করছে তা আর আমি জানি না।
বহুমাত্রিক.কম