ঢাকা : বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার ইলেক্ট্রনিক কার্যক্রমের উন্নয়নে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অনুমোদন দিয়েছে।
সরকারি তহবিলের কার্যকর ও দক্ষ ব্যবহারের চাহিদা মোটানোর ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ই-জিপি হিসেবে পরিচিত এই সাশ্রয়ী ব্যবস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণের সময় ২০১২ সালের ৫১ দিন থেকে ২০১৫ সালে ২৯ দিনে হ্রাস করেছে। একই সময়ে বিডার বেড়েছে ১৮ গুণ। ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অনলাইনে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের ৩২ হাজার সরকারি টেন্ডারের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
বিশ্বব্যাংকের এই অতিরিক্ত অর্থায়নে সরকারি ক্রয় সংস্থার প্রকল্প-২’র আওতায় ২শ’ টেরা-বাইট ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার স্থাপনে সহায়তা করবে।
ব্যাংক নিরাপত্তা ও ১৮০ গুণ অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই নতুন ব্যবস্থা ৮.৬ মিলিয়ন টেন্ডার সংরক্ষণ ও ৩ লাখ ২৫ হাজার নিবন্ধিত বিডারকে সহায়তা দেবে। ২০১১ সালে পরিবহন, স্থানীয় সরকার, পানি ও বিদ্যুৎ এই ৪ খাতে ইলেক্ট্রনিক ক্রয় ও অনলাইন পারফরমেন্স মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হয়।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়ে ফান বলেন, ২০০২ সাল থেকে আমরা পর্যায়ক্রমে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছি। আমরা এটা দেখে খুশী যে এমনকি স্থানীয় পর্যায়েও বিডারের দ্রুত ইলেক্ট্রনিক ক্রয় পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা দেশব্যাপি ক্রয় সম্পর্কিত কর্মজীবী তৈরির লক্ষ্যেও সহায়তা দিচ্ছি।