ছবি : বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আশুলিয়ায় মো. ফরহাদ (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্মমভাবে প্রহার করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেংগুরী দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের শিক্ষক মো. কাউসার এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
আহত ফরহাদ গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির কোনাপাড়া টেংগুরী দারুল উলম ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।
ফরহাদ জানায়, ‘রাত ১০টার দিকে কিতাব বিভাগের দুই ছাত্র শিক্ষক কাউসার সাহেবকে বকা দেন। বিষয়টি কাউসার সাহেব আমার কাছে জানতে চায় যে কে তাকে বকা দিয়েছে। কিন্তু আমি বলতে রাজি হয়নি। পরে আমি সাক্ষী না দেয়ায় আমাকে হাত-পা ও মুখ বেধে বেত দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক আমার গলায় টিপে ধরে। আমাকে বেধম মারপিট করে রুমে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে কৌশলে আহত অবস্থায় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যাই।’
ফরহাদ এর মামা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বকুল জানান, গত ৫ বছর আগে ফরহাদকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। রাতেই বিষয়টি জানতে পারি। পরেরদিন বুধবার সকালে ফরহাদকে নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে তারা ফরহাদকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষক কাউসারকে বরখাস্ত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কাউসার বেশী অসুস্থ্য হওয়ায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিরানী বাজার এলাকার বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করি।’
এব্যাপারে কোনাপাড়া ট্গংুরী দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপালের মোঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বক্তব্যের জন্য মাদ্রাসায় গেলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে না পেয়ে দায়িত্বরত অন্যান্য শিক্ষককের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
বহুমাত্রিক.কম