সাভার : আশুলিয়ার পৃথক দুটি স্থান থেকে এক নারী সহ দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর থেকে সড়ক দূর্ঘটনায় ভ্যান চালক রেজাউল করীম (৫০) ও বটতলা এলাকায় মামার বাসায় বেড়াতে এসে ভাগিনী ডলি আক্তার (২৫) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রেজাউল কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানাধীন জুম্মারহাট এলাকার মৃত খরাত মিস্ত্রি এর ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার পলাশ এর বাড়িতে ভাড়া থেকে রিকশা ভ্যান চালাতেন।
এদিকে, অপর নিহত ডলি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন সাতমমোড়া এলাকার মো. কাউসার হোসেন এর মেয়ে এবং সৌদী প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন এর স্ত্রী।
নিহত রেজাউলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, ভোর ৫টায় ইউসুফ মার্কেট এলাকার বাসা থেকে রিকশা নিয়ে বাইপাইলের উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকার নদী ফিলিং ষ্টেশন এর সামনে পৌছলে রিকশা ভ্যানটি পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে, মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে গলায় উড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে ডলি আক্তার নামের এক গৃহবধূ। তবে এলাকাবাসি বলছে এটি রহস্যজনক মৃত্যু।
নিহত ডলির মামী রাশিদা বেগম জানান, ডলি তার স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তার ভাইয়ের সাথে রাজধানী ঢাকার মীরপুর ১১, ব্লক সি, রোড ১১ ও ১১৭ নং বাসায় থাকেন। তার সাঈম নামের ২বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আশুলিয়ার বটতলায় আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে তার স্বামীর সাথে প্রায় ৫৪ মিনিট কথা বলেন।
এরপর ছেলেকে নিয়ে কক্ষের দড়জা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। গভীর রাতে তার ছেলে সাঈম কান্নাকাটি করলে ঘুম থেকে উঠে তাকে ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোন সারাশব্দ না পেয়ে পাশের জানালা দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় কক্ষের অভ্যন্তরে থাকা শিশুপুত্র সাঈম এর মাধ্যমে দরজা খোলা হয় এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) অহিদুল ইসলাম জানান, রিকশা চালক রেজাউলের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং নিহত ডলি আক্তার এর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বহুমাত্রিক.কম