ঢাকা : নতুন করে অবরোধ আরোপের মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া শনিবার আবার একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে আন্তর্জাতিক অবরোধ জোরদারে সমন্বিত মার্কিন চাপকে কোন ধরনের পাত্তা না দিয়ে তারা এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এটি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই দুই দেশ। এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
উত্তর কোরিয়া এমন এক সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের শততম দিন পূর্তি করলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি
ছোড়ার কয়েক সেকেন্ড পর এটি বিস্ফোরিত হয়। এদিকে মার্কিন সেনাসূত্র জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার এলাকার বাইরে যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্র জানায়, স্থানীয় সময় আজ ভোরে পিয়ংইয়ংয়ের একটি এলাকা থেকে ক্ষপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া তাদের মিত্র দেশ চীনের ইচ্ছা এবং চীনা প্রেসিডেন্টকে অসম্মান করেছে। যদিও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে, তবু এটা খুব খারাপ।’ তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
উত্তর কোরিয়া এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে বলে আভাস দেন।
এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পারমানবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসতে উত্তর কোরিয়াকে বাধ্য করার কাজে সহযোগিতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানান। এর কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া প্রথম ভাষণে টিলারসন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টি এখনো ‘আলোচনার টেবিলে’ রয়েছে।