ঢাকা : আগামী নভেম্বর মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ বইমেলা-কলকাতা।’ ২০১১ সাল থেকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃষ্টিশীল প্রকাশক সমিতি’ এই মেলার আয়োজন করে আসছে।
এবারও কলকাতার ‘নন্দন চত্বর’এ সপ্তম বারের মতো এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাসসকে জানান হয়। প্রতিবারের মতো এবারও মেলার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি এবং অন্য প্রকাশের সত্তাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বাসসকে জানান, প্রতিবছরই এই মেলায় অংশ নেয়া প্রকাশনা সংস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয় দিনব্যাপী এবারের মেলায় বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা গতবারের চেয়ে বাড়ছে। গত মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল ৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা। এবার মেলায় অংশ নেয়ার জন্য ৬০টি প্রকাশনা সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেছে। গত ছয়টি মেলা ছিল সাতদিন্যবাপী।
এবার মেলা চলবে নয়দিন। প্রতিবছর অক্টোবর মাসে এই মেলার আয়োজন হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার বন্যার কারণে এবং কলকাতার ‘নন্দন চত্বর ’যেখানে মেলা হবে-সেটা সংস্কারের কাজ চলছে,এই দৃুটি কারণে এবারের মেলা অক্টোবর থেকে পিছিয়ে নভেম্বর মাসে নেয়া হয়েছে। দুর্গাপূজার পর মেলা উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করা হবে। মেলার অন্যান্য সকল প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।
মাজহারুল ইসলাম বলেন,এই মেলাটা শুধু বইমেলাই নয়। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সেতুবন্ধনও ঘটছে মেলার মধ্যদিয়ে। বাড়ছে বই বিক্রি। পশ্চিমবঙ্গের লেখক,প্রকশক,সংস্কৃতিজনদের সাথে প্রয়োজনীয় বিষয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সম্পর্ক।
আগামী প্রকাশনীর সত্তাধিকারী প্রকাশক ওসমান গণি জানান, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের বই পাওয়া যায় না। এই অভাব দূর করতেই দেশের সৃজনশীল প্রকাশকদের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন হয়ে আসেছ। এই মেলার মধ্যদিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদার কিছুটা অভাব পুরন হচ্ছে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃষ্টিশীল প্রকাশনা সমিতি যে উদ্দেশে মেলাটি আয়োজন করছে,তার ফল পাওয়া যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দিন দিন এর পরিসর বাড়ছে। বই বিক্রিও বাড়ছে। ভারতের প্রকাশক, লেখকদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাঠক, গবেষকসহ গ্রন্থপ্রেমীদের আকাংখাও কিছুটা পুরন হচ্ছে। তিনি জানান,গ্রন্থ প্রদর্শন,বিক্রির পাশপাশি মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও থাকবে বই সম্পর্কে সেমিনার,আলোচনা,দুই দেশের কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহনে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে নানা আয়োজন। এবারও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশকদের পাশাপাশি লেখক-সাহিত্যিকরা এতে যোগ দেবেন। সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।