ছবি: পিআইডি
ঢাকা : খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, খাদ্যশস্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখা এবং যে কোন জরুরি চাহিদা মেটাতে আগামী আগস্টের মধ্যে দেশে চালের মজুদ ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই’ উল্লেখ করে তিনি বর্তমানে চালের ভালো মজুদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এবং এ ব্যাপারে সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মন্ত্রী জানান, ভিয়েতনাম থেকে জুলাই মাসেই ১ দশমিক ১০ লাখ টন চাল চট্্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছবে এবং বাকি ১ দশমিক ৮ লাখ টন চাল আগস্টে আসবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি (সরকার টু সরকার) চুক্তিতে আড়াই লাখ টন চাল ক্রয় করবে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ২০ হাজার টন পৌঁছেছে।’
এছাড়াও, তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে ৮৪ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে এবং তা কয়েক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
‘বর্তমানে চাল আমদানির জন্য চারটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে’ উল্লেখ করে কামরুল বলেন, ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার ৪০ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাল ক্রয় ও শিপমেন্টের কাজ শেষ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন,জিটুজি ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের ব্যাপারে খুব শিগগির ভারত, থাইল্যান্ড, মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে আলোচনা ও চাল ক্রয় চূড়ান্ত করার জন্য ১৬ জুলাই ভারত এবং ২৪ জুলাই থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় প্রতিনিধিদল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপ চালের মজুদ আগস্টে ১০ লাখ টন ও সেপ্টেম্বরে ১২ লাখ টনে উন্নীত করতে সহায়ক হবে।’
কামরুল বলেন, চালের অভ্যন্তরীন ক্রয়ও দুই লাখ টন মজুদে সহায়তা করবে।
বাজারে চালের উচ্চমূল্যের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় বন্যাকালীন সময়ে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র চাল মজুদ করায় এমনটি হয়েছে।
‘আমরা ১৬ হাজার অসাধু চালকল মালিককে তিন বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছি এবং সরকার তাদের কাছ থেকে কোন চাল ক্রয় করবে না’ উল্লেখ করে কামরুল বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল বৃদ্ধি করার যে কোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।