Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আক্কেলপুরে সেচ প্রকল্পে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক

আক্কেলপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

আক্কেলপুরে সেচ প্রকল্পে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ফসলের মাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি হচ্ছে কৃষকের সেচ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক মিটার। দুর্বৃত্তদের রেখে যাওয়া চিরকুটের মোবাইল নম্বরে টাকা ফ্ল্যাক্সিলোড দিলে ফেরৎ দেয়া হচ্ছে মিটার। মিটার চুরি অব্যাহত থাকায় মাঠের ফসলের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ী মহল।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার ১৪ জানুয়ারি /১৭ দিবাগত রাতে পৌর এলাকার পশ্চিম মানিকপাড়া গ্রামের তুলা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের তুলার মিল থেকে ও সোনামূখী গ্রামের মুজিবর রহমানের চাতাল থেকে, একই রাতে গোপিনাথপুর বাজারের হোদা মিয়া ও ১ জানুয়ারি ২০১৭ রাতে শফিকুল ইলসামের গভীর নলকুপ থেকে, একই রাতে পার্শ্ববর্তী মাহমুদপুর গ্রামের আল-আমিন, ৩০ ডিসেম্বর রাতে লালুন পাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর, হরিপুর গ্রামের মাঠ থেকে একই গ্রামের বাবলু গংদের তত্বাবধানে পরিচালিত গভীর নলকুপের, আলাদীপুর গ্রামের অবঃ সেনা সদস্য আকতার হোসেনের গভীর নলকুপ থেকে, যোগিভিটা গ্রামের জুয়েল সমজদারের গভীর নলকুপ থেকে, হরিসাড়া গ্রামের ছাইদুর রহমানের পরপর দু’বার গভীর নলকুপ থেকে, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফর পুর মাঠ থেকে সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ রানা ও আব্দুর রহমানের গভীর নলকুপ থেকে মিটার খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

মিটার খুলে নিয়ে যাবার সময় দৃর্বৃত্তরা সেখানে সাদা কাগজের চিরকুটের উপর (০১৭৭৯-৫৮৭৪৪৯) নম্বর লিখে যাচ্ছে যোগাযোগের জন্য। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে দুর্বৃত্তদের চাহিদার টাকা ও্ই নম্বরে বিক্যাশ করলে মিটার মালিকদের জানিয়ে দেয়া হয় মিটার কোথায় রাখা আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে পুঃনসংযোগ করতে হচ্ছে কৃষকদের। অনেক সময় এলাকার চিহ্নিত বিশেষ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করেও মিটার উদ্ধার হচ্ছে। অনেকে প্রাণভয়ে সে ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল ম্যানেজার মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, চুরি যাওয়া মিটার গুলোর দাম থ্রিফেইজ হলে ২৫ হাজার টাকা ও সিঙ্গেল ফেইজ হলে ১৪ শত টাকা। সম্প্রতি মিটার চুরির ঘটনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি জানালেন।

দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে সেচ মালিকদের হুমকি দিয়ে বলে। চুরি করে নিয়ে যাওয়া মিটার তাদের ক্ছা থেকেই নিতে হবে। সেটা না করলে বার বার সেচের যন্ত্রাংশ নিয়ে যাওয়া সহ সেচ ঘড় পুড়িয়ে ও সেচ কার্যবন্ধ করে দেয়া হবে। এমনটায় জানালেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন এলাকার গভীর নলকুপের পরিচালক ও কৃষক।

এ বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় কৃষি কাজে ব্যবহিৃত মিটার খুলে নিয়ে যাবার হিড়িক ও কৃষি উৎপাদনের ব্যঘাত সৃষ্টিকরা সর্ম্পকে আলোচনা হয়। আলোচনায় আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই মোবাইল নম্বরের সুত্রধরে একজন দৃর্বৃত্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। শুধু আটকের অপেক্ষা।

এরপরও থেমে নেই মিটার খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। রাতের আঁধারে মিটার খুলে নিয়ে যাবার ঘটনা সমগ্র উপজেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেচের মিটার খোলা বৃদ্ধি পাওয়াই কৃষকরা তাদের বোরো সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

এমনটাই জানালেন উপজেলার অনেক গভীর নলকুপের পরিচালক ও কৃষকরা। দুর্বৃত্তদের মিটার খুলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে না পারলে আসন্ন বোরো ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer