ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আশুলিয়ায় গুরুতর এক ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আশুলিয়ার জিরানীস্থ বিকেএসপি পাবালিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসকে ইনামুল বশার এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর অসুস্থ ওই ছাত্রীর পিতা সঞ্জীত কুমার জানান, আমার মেয়ে প্রিয়াংকা বিকেএসপি পাবলিক স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির রজনীগন্ধা শাখার নিয়মিত ছাত্রী। গেল শুক্রবার রাতে বাসায় খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে তার ডান পাঁ ভেঙ্গে যায় এবং সে গুরুতর আহত হয়। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (কেপিজে) বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
তার ডান পা ভেঙ্গে গেছে। পা’য়ে প্লাস্টার করতে হবে এবং তাকে অন্তত তিন সপ্তাহ বেড রেস্টে থাকতে হবে। এছাড়া তার পাঁয়ের ভাঙ্গা হাড়ে জোড়া না লাগাসহ ইনফেকশনও হতে পারে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
প্রিয়াংকার বাবা আরো জানান, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসকে ইনামুল বশারের কাছে মেয়ের ছুটির জন্য আবেদন করা হয়। আবেদন করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটি মঞ্জুর করার পাশাপাশি তাদের মেয়েকে মাসিক পরীক্ষা দিতেই হবে বলে শর্ত জুড়ে দেন এবং পরীক্ষা দিতেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। একরকম নিরুপায় হয়েই প্রধান শিক্ষকের কথামত তাকে গুরুতর অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষকের এধরণের আচরণকে অমানবিক হিসাবে বলে মন্তব্য করেছেন অভিভাবকরা।
প্রিয়াংকার মা রিক্তা রায় অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার মেয়ের সাথে শুধু অমানবিক আচরনই করেননি বরং গত তিনদিনে দুইটি করে মাসিক পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে তার কোন প্রকার খোঁজ খবর নেননি।
বিকেএসপি পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসকে ইনামুল বাশার এর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা মোটেও ঠিক না। বরং আমি ওই ছাত্রীর অভিবাবককে বলেছি, আগে সুস্থ হোক পরে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া আমি কেন তাকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করবো।
এব্যাপারে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার মেনজিস জানান, ওই ছাত্রীর অভিভাবকগণ আমার সাথে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
বহুমাত্রিক.কম