ঢাকা : সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর পদ-পদবীর সুবিধা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্পর্কে ‘স্বাধীন সরকারি তদন্ত’ পরিচালনার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিচার বিভাগ সম্পর্কিত সিনেট কমিটির সিদ্ধান্তকে আজ স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ বাসস’কে বলেন, ‘আমরা আনন্দিত... আমি মনে করি, এই তদন্ত তুলনামূলকভাবে কম উন্নত একটি রাষ্ট্রের ওপর কোন শক্তিশালী রাষ্ট্রের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা রোধে সহায়ক হবে।’
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, যার সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বন্ধুত্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছিলেন এবং সরকারি চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ড. ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনর্বহাল করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের একটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধর পদের সুযোগ নিয়ে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ- অনাকঙ্খিত ও অনৈতিক... তাই আমরা এ বিষয়ে তদন্ত শুরুর জন্য মার্কিন সিনেটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সম্পর্কিত সিনেট কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অনুশীলন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
তদন্ত শুরুর জন্য মার্কিন সিনেট কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির। তিনি বলেন, এই তদন্তের ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে, গত ১ জুন বিচার বিভাগ সম্পর্কিত সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর চাক গ্রাসলি এই তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে চিঠি দেন।