বগুড়া : বগুড়ায় সমাজসেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর ট্রেনিং সেন্টারে ৩০টি কম্পিউটার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানতে পেরে কম্পিউটারগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থাও করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর প্রক্রিয়া চলছে।
রোববার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে ওই কর্মকর্তার দাবি, তিনি কোনও অপরাধ করেননি।
জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসের ট্রেনিং রুমে অনেকগুলো কম্পিউটার না থাকায় হই চই তৈরি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল হাসান শহরের জহুরুল নগর এলাকায় তার স্ত্রীর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ মিলিয়ে এই ৩০টি কম্পিউটার নিয়ে গেছেন। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সহিদুল ইসলাম খাঁন বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন।
তিনি শহর সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দ্রুত কম্পিউটারগুলো ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেন। না হলে মামলা করার কথা বলা হয়। তবে শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল হাসান তড়িঘড়ি করে কম্পিউটারগুলো স্ত্রীর ট্রেনিং সেন্টার থেকে নিজ কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে নেওয়ার পর কম্পিউটারগুলো পরিবর্তন করে নেওয়া হয়েছে।
কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার জন্য ৪-৫টি কম্পিউটার বাইরে নিয়েছিলেন। পরে অফিসে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও অপরাধ করিনি। সামনে আমার প্রমোশন। প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
এদিকে বগুড়া জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক সহিদুল ইসলাম খাঁন জানান, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল হাসান কাউকে না জানিয়ে অফিসের ৩০টি কম্পিউটার তার স্ত্রীর জহুরুল নগরের ট্রেনিং সেন্টারে নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে দুঃখ প্রকাশ করে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। উপ-পরিচালক আরও জানান, তিনি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শোকজ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিবেন।
বহুমাত্রিক.কম