ঢাকা : বাংলাদেশে রেডিও, টেলিভিশনের মতো অনলাইন সংবাদমাধ্যমকেও সম্প্রচার কমিশনের অধীনে এনে নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
জাতীয় সংসদে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে `জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা- ২০১৭` এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তবে কমিশন হওয়ার আগ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয় তা দেখাশোনা করবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন- নিবন্ধনের জন্যপ্রাথমিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে আঠারোশো অনলাইন পত্রিকা বা পোর্টাল তাদের নাম-ঠিকানা ও তাদের যোগাযোগ নম্বরসহ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিয়েছে।
"আমরা যাচাইবাছাই করছি কোনো তথ্যে ভুল আছে কিনা, ঠিকানা ঠিক আছে কিনা। চূড়ান্ত যাচাইবাছাইয়ের পর নিবন্ধন করবে কমিশন । কিন্তু তার আগে যদি করতে হয় সেটা সাময়িকভাবে
হতে পারে। তবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি" বলেন হাসানুল হক ইনু।
নিবন্ধনের জন্য কি কোনো শর্ত থাকবে অর্থাৎ অনলাইনে সংবাদ কত লোক পড়ছে বা প্রচার সংখ্যা কত?
হাসানুল হক ইনু বলেন "পত্রিকার নিবন্ধনে প্রচারসংখ্যার বিষয় উল্লেখ থাকে না। সেখানে যেটা হয় যে দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী আপনি শর্তগুলো পূরণ করছেন কিনা। সেটা এত জটিল ব্যাপার না"।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমের যেন অপব্যবহার না হয় সে কারণেই এই নিবন্ধন নীতিমালার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিবিসি বাংলার সাথে আলাপাকালে তথ্যমন্ত্রী বলছিলেন "অনলাইন পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে কখনো চরিত্র হনন কখনো উস্কানি কখনো সংঘর্ষ লাগিয়ে দেওয়া, কখনো মিথ্যাচার করা বা গুজব ছড়ানো এসব ঘটনা ঘটছে। যা অনলাইন পত্রিকার পবিত্রতা নষ্ট করছে"।
"এই ব্যাপারে যেহেতু কোনো আইনকানুন নাই, কোনো ব্যবস্থাপনা নাই সেহেতু আমরাও বিব্রত হচ্ছি এবং যারা সৎভাবে অনলাইন চালাচ্ছেন তারাও বিব্রত হচ্ছেন। সুতরাং ঢালাওভাবে সবাই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় নীতিমালা সেই সুযোগটা করে দেবে" বলছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বিবিসি বাংলা