ঢাকা : সাজেক- একসময় যার পরিচিতি ছিলো দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হিসেবে। তবে যোগাযোগ, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হওয়ায় এখন বাঘাইছড়ির সাজেক পাহাড়ি সৌন্দর্যের অহংকার।
কিছুদিন আগেও সাজেকের কাছাকাছি খাগড়াছড়ি ও জেলার শহরের মানুষের কাছেই দুর্গম সাজেক যাওয়া অসম্ভব ছিলো। কিন্তু যাতায়াতের সুবিধা থাকায় এখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক অনায়াসে সাজেকে যেতে পারছেন। সাজেকের সুউচ্চ পাহাড়ে দাঁড়ালে কল্পনায় যে কেউ চলে যাবেন আকাশের কাছাকাছি।
আর নিচের দিকে তাকালে ভাবনা আসতেই পারে কিভাবে উঠলেন এতো উপরে! আকাশ আর পাহাড়ের অপূর্ব মিতালী দেখে হয়তো মনের অজান্তে বলে উঠবেন- আরো আগে আসা উচিত ছিল। সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি সাজেক।
এর মধ্যে শুধু সাজেকে রাস্তার দু’পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ফুটপাত। লাগানো হয়েছে সোলার স্ট্রীট লাইট। সাঁঝ ঘনিয়ে আসলেই জ্বলে উঠে সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো। পানি সরবরাহের জন্য পোর্টেবল ওয়াটার সাপ্লাইয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সাজেকের লোকজনকে এখন আর বিশুদ্ধ পানির ভোগান্তিতে থাকতে হবে না। এ ছাড়া সরকারিভাবে করে দেয়া হয়েছে ক্লাব হাউজ, গীর্জা, মন্দিরসহ আরো অনেক প্রকল্প।
দুর্গম সাজেকবাসীর যোগাযোগের জন্য প্রথমবারের মতো বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সাজেক এলাকাটি পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্পট হওয়ার পাশাপাশি সাজেকবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তিও আসবে- এই প্রত্যাশা সকলের।
কিভাবে যাবেন সাজেকে দেশের যেকোন স্থান থেকে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যাবেন। ঢাকার কমলাপুর এবং চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে শান্তি, এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ঈগল- এদের যে কোন পরিবহনে রাতে অথবা দিনে খাগড়াছড়ি আসা যায়। খাগড়াছড়ি থেকে ভাড়ায় চালিত যে কোন গাড়ি করে ১২০-১৫০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানো যাবে সাজেকে।