Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাষা প্রসঙ্গে কিছু কথা

আ.স.ম জাকারিয়া 

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ভাষা প্রসঙ্গে কিছু কথা

ভাষা হলো ভাব প্রকাশের মাধ্যম। নিজস্ব ভাষার মাধ্যমে মানুষ তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। নিজস্ব ভাষার মাধ্যমে সত্যিকার ভাবে ভাব প্রকাশ করা যায়। মাতৃভাষার মাধ্যমে যত সহজ, সাবলীল এবং সুন্দর ভাবে ভাব প্রকাশ করা যায়, অন্য কোন ভাবে তা প্রকাশ করা যায় না। এ জন্য মাতৃভাষা সবার কাছে প্রিয়। এ প্রিয় মাতৃভাষা রক্ষার জন্য একমাত্র বাঙালিরাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে ছিল। পৃথিবীর অন্য কোন জাতি, ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে কিনা-না তা অজানা। একমাত্র বাঙালিরাই তার ব্যতিক্রম।

পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি, তাদের শোষণ স্থায়ী করার জন্য প্রথমই ভাষার ওপর আঘাত হানে। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করার জন্য প্রস্তাব পেশ করে ঠিক তখনই বাঙালি গর্জে উঠে। উর্দু নয়,বাংলা হবে রাষ্ট্রভাষা। এ দাবীতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলার ছাত্র, যুবক তথা আপামর জনতা ভাষার দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে সালাম, জব্বার, বরকতের বুকের তাজা রক্তে ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা স্বীকৃত। এটা আমাদের গর্ব। যারা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে তারা ধন্য, তারা স্বীকৃত। কিন্তু যাদের রক্তে বাংলা আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত। যাদের জন্য বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির বাইরে পৃথিবীর স্বীকৃত একটি ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত, সে ভাষা নিজের দেশে কতটুকু মর্যাদায় তা বিচার বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

যে মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে, যারা জীবন দিয়েছে, যে উদ্দেশ্যে রক্ত দিয়েছে, বিনিময়ে কী পেয়েছে? একথা বারবার মনে জাগে। বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থা তার সামগ্রিক প্রয়োগ দেখে প্রশ্ন জাগে এর জন্য কী তারা জীবন দিয়েছে? যে ভাবে আমরা আজকে বাংলা ভাষার ব্যবহার করছি, চর্চা করছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছি, এ জন্য তারা জীবন দেয় নাই। তাদের স্বপ্ন ছিল বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। বাংলার শিল্প, সাহিত্য, কৃষ্টি সংস্কৃতিক বাংলা ভাষা লিখিত পঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রাষ্ট্রের দাপ্তরিক কর্মকান্ড অন্য ভাষার ব্যবহার করতে আগ্রহ বোধ করেন।

বাংলায় কথা বলা, চর্চা করা আমাদের কাছে বিরক্তি ও নীচু মানের বলে মনে হয়। বাংলায় কথা বললে ভদ্র লোক মনে হয় না বরং ইংরেজিতে কথা বললে উচু মানের ভদ্র লোক মনে হয়। মৌলভী সাহেবরা আরবীতে ফার্সিতে ওয়াজ করতে ভালবাসেন বাংলায় নাকি জুতসই হয় না। অথচ যাদের জন্য ওয়াজ যাদের জন্য সংস্কৃতি যাদের জন্য শিক্ষা সংস্কৃতিক তারা কিছুই বুঝলো না, শিখলো না, জানলো না। তবুও আমরা গেয়ে গেলাম, বলে গেলাম, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম। কি বিচিত্র আমাদের ভাষা প্রীতি। এদৃশ্য দেখলে মনে হয়, তাদের রক্ত দান বৃথা। বিনা কারণে প্রাণটা বিসর্জন দিয়েছে। যাদের কথা বলার জন্য ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের ভাষার প্রয়োগ চলন, বলন দেখে কষ্ট লাগে। ব্যথিত হয় হৃদয়।

শিক্ষিত লোকদের বাংলা বলার ঢং, শুদ্ধ করে বলতে গিয়ে অতিমাত্র বিকৃত। যা কৌতুকের মত শুনায়। অতিমাত্রায় ইংরেজির প্রয়োগ। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড যাহা, বাংলায় সহজে বলা সম্ভব তাও, অবলীলায় ইংরেজিতে। উপস্থাপকরা বাংলার সাথে ইংরেজি এবং ইংরেজির সাথে বাংলা মিশ্রিত করে খিচুড়ি মার্কা উপস্থাপনা করেন যা রীতিমত পীড়াদায়ক। বলার কেউ নাই, দেখার কেউ নাই, চোখ থাকতে অন্ধ কান থাকতেও বধির।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় মিশ্র পদ্ধতিতে উপস্থাপনা করলে দোষ কী? বিভিন্ন ভাষায় হয়ত থাকতে পারে কিন্তু এ ধরণ বাংলায় বেশী। পূর্ব বঙ্গ, পশ্চিম বঙ্গ, দুই বঙ্গেই মিশ্র, বিশেষত বাংলা এবং ইংরেজির মাধ্যমে রেডিও টেলিভিশন, সভা, সমাবেশ, বক্তৃতা, বিবৃতি ইত্যাদি চলে। দুই বঙ্গেরই শিল্পী, সাহিত্যিক, নায়ক, গায়ক প্রায় সবার মুখেই এ মিশ্র পদ্ধতির লক্ষণ দেখা যায়, শুনা যায়। আমার কাছে মনে হয়, এ পদ্ধতি তারা নিজেদের উঁচু মানের পদ্ধতি মনে করে ব্যবহার করেন। বাংলার সাথে বিশেষ করে ইংরেজি জুড়ে উচ্চারণ এবং প্রয়োগ করলে উঁচু মানের ভাষার প্রয়োগ হয় বলে, তারা মনে করেন।

অন্যেরা বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গ, বা দুনিয়ার অন্যের মিশ্র, টিশ্র যে ভাবে ভাষার প্রয়োগ করুক, এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নাই। শুধু বাংলা ভাষা, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাঙালিরা এ ভাবে প্রয়োগ করলে কথা বলতে হয়, কষ্ট লাগে, ব্যথা লাগে, কারণ এ ভাষাটা রক্ত দিয়ে কেনা, জীবন দিয়ে কেনা, অন্য কোন জাতি ভাষা রক্ত দিয়ে কিনে নাই।

যে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার বীজ বোপিত হয়েছে পরবর্তী এ পথ ধরে কাঙ্খিত স্বাধীনতা এসেছে সে আন্দোলনের নায়করা উপেক্ষিত। জীবন উৎসর্গ কারীদের স্বপ্ন অবহেলিত। যে ভাষা ইদানিং ভাষার চর্চা হচ্ছে, তার দিকে কারো কোন খেয়াল নেই। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে যাদের এ ক্ষেত্রে করণীয় রয়েছে তারা সবাই উদাসীন, কারোর যেন কিছুই করার নাই। দেখেও না দেখার ভান করে, শুনে ও না শুনার ভান করে, সব কিছু এড়িয়ে চলছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যারা আসে, সবাই এক্ষেত্রে রুটিন মাপিক কাজ করেন। বাস্তব কোন ভূমিকা কেউ রাখে না। ভাব-সাব দেখলে মনে হয় ভাষা, এ যেন তেন ভাবে বললেই হলো। তাছাড়া বর্তমান দুনিয়ায় চলছে ইংরেজির ওপর সুতরাং ইংরেজির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, অন্য সব পরে।

বর্তমান দুনিয়াতে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নাই। বিশ্ব বাস্তবতার আলোকে ইংরেজি জানার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না, তাই বলে নিজের ভাষাকে তুচ্ছ করে নয়। আগে মাতৃভাষার গাথুনি, পরে অন্য সব। কথা ছিল, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অভ্যন্তরে প্রশাসনিক সকল কাজ বাংলায় চলবে। সকল স্তরে বাংলার প্রাধান্য থাকবে, দুর্ভাগ্য যে, বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায় না। বাংলাদেশে মাটিতে বাংলা ভাষার জন্য জীবন গেছে অথচ এ ভাষার বর্তমানে অবহেলিত। হাইকোর্ট করতে হয়, ভাষার প্রচলনের জন্য সর্বত্র ভাষার ব্যবহারের জন্য। ভাষা শহীদের স্মৃতির পবিত্রতা রক্ষার জন্য হইকোর্ট করতে হয়, মাতৃভাষা স্মৃতি যাদুঘর করতে হাইকোট লাগে। এর চেয়ে চরম দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে।

বাঙালির বাংলা ভাষা শহীদ স্মৃতি ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি হাইকোর্ট করে আদায় করতেহয় এর চেয়ে লজ্জা কী হতে পারে? এর জন্য কী তারা প্রাণ দিয়েছিল? কী দরকার ছিল সেদিন ভাষার দাবীতে অহেতুক আন্দোলন করার, প্রাণ দেয়ার, এর উত্তর দিবে কে? রাষ্ট্র ক্ষমতার লড়াই এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ লড়াই চলে, ক্ষমতায় যাওয়ার পর এসব আর মনে থাকে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় গেলেও যে অবস্থা, বিরোধীরা গেলে সে অবস্থা। বর্তমানে প্রশাসনিক তথা দাপ্তরিক সকল কাজ এমপি, মন্ত্রী, উজির, নাজির সবাই বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এমনকি সাধারণ আলাপ আলোচনা বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে বলতে ভালবাসেন।

যাদের হাতে নিয়ম নীতি ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বাস্তবে কার্যকরী করার ক্ষমতা, তারা যদি তা না করে অবস্থা কী দাঁড়াবে তা সহজে অনুমেয়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, এ যেন, ভদ্রলোকের ভাষা নহে, তাদের আচরণ একথাই মনে করিয়ে দেয়। দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষা উপেক্ষিত। বিচার বিভাগ প্রশাসনের সকল দপ্তর, শিক্ষা, সংস্কৃতি সকল স্তরে ইংরেজির ব্যবহার দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত সকল ধরনের ‘সাইন বোর্ড’ সরকারি, বেসরকারি, সবাই ইংরেজি ভাষায় লিখিত।

বাংলা ভাষায় যদিও কিছু কিছু দেখা যায় তাও আবার ভুল বানানে। মাতৃভাষা বাংলা, বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে এলিট শ্রেণির কাছে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে গন্য, ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষা তাদের মাতৃভাষার মত। একুশে ফেব্র“য়ারী বই মেলা হয়, বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের কর্ণধারেরা সুন্দর ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ভাষা নিয়ে আশার বাণী শোনান, সুন্দর কথার মালা সাজিয়ে বলেন, আজকে আমাদের শপথ হোক বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার। বাংলা ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করার। এ বক্তব্য শুধু কথার কথাই থেকে যায়, বাস্তবে কিছুই হয় না এমন কিছু মধুর বচন শোনার জন্য পরবর্তী একুশে ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

একুশ নিয়ে, শহীদ স্মরণে ভাষার মর্যাদায় ‘বই মেলা’ হয়, এ শুধু নিচক ‘বই মেলা’। সেমিনার সিম্পোজিয়াম হয়, কথা হয়, বই প্রকাশ হয়, বই বিক্রি হয়। লেখক, লেখিকার সাক্ষাত মিলে নবীন, প্রবীনের মিলন মেলা বসে। কিন্তু যে ভাষার জন্য যে শহীদ স্মরণে মেলা, তার ব্যাপারে কথা হয়, সিদ্ধান্ত হয় না। কার্যকরী পদক্ষেপে গৃহিত হয় না। ভাষার সর্বস্তরে চালু, সকল কর্মকান্ডে বাংলা ভাষার প্রচলন, বাংলার সঠিক বানান, শুদ্ধ উচ্চারণ এসব ব্যাপারে কিছু হয় না। এ বিষয়গুলো কার্যকরী করার জন্য কী করনীয়, কী বর্জনীয় তার সিদ্ধান্ত হয় না।

সকল বাঙালির কাছে বই মেলা, বইয়ের মেলা, আনন্দের মেলা লেখক প্রকাশকের মেলা, এক মাসব্যাপী সকল স্তরের সকল বয়সের বাংলা ভাষা ভাষীর বিনোদনের মেলা। অথচ একুশে শোকের মাস ভাষার চেতনার মাস। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন কর্তা ব্যক্তিরা শহীদ মিনারে ঘটা করে ফুল দেয়, শহীদের জন্য মায়া কান্না করেন, অনেক প্রতিশ্র“তি দেন। একুশ শেষে সব কিছু ভুলে যান।

ক্ষমতার ভীত মজবুত করার জন্য বিভিন্ন শ্লোগানের ফানুস উড়ান একের দোষ, অন্যের ঘাড়ে চাপান। স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ বিভাজন করেন, আসল কাজ কিছুই করেন না। এহেন কার্য কলাপ বন্ধ হওয়া উচিত। ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। মাতৃ ভাষা বাংলাকে স্ব-মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার জন্য কর্তা ব্যক্তিদের কার্যকরী ভূমিকা রাখা দরকার। বাংলা ভাষা আজ বিশ্ব স্বীকৃত। সুতরাং এ ভাষা যাদের মাতৃভাষা যারা এ ভাষা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছে যে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে, স্বাধীনতা এসেছে, সে ভাষার মান, মর্যাদা, ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা যারা এ ভাষায় কথা বলি, তাদের এ ভাষার উন্নয়ন প্রয়োগ এর লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।

বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি সুতরাং ভাষার সঠিক ব্যবহার, সর্বস্তরে প্রশাসনিক কর্মকান্ডে বাংলা ভাষার প্রচলন দাপ্তরিক কাজে বাংলা ব্যবহার। তাছাড়া ভাষার অপ-ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ উচিত। এ আনন্দে আত্মতৃপ্তিতে ঢেঁকুর তুললে চলবে না। যে কারণে মাতৃভাষা বিশ্ব স্বীকৃত যে একুশ বিশ্ব স্বীকৃত, তার মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে হবে। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় দপক্ষেপ গ্রহণ না করলে, বাংলা ভাষা তার স্বকীয়তা হারাবে। আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা প্রাকৃত জনের ভাষায় পরিণত হবে। বাঙালির মাতৃভাষা, বাঙালিদের কাছেই দ্বিতীয় শ্রেণির ভাষার মর্যাদা লাভ করবে। ইংরেজি ভাষা হয়ে যাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিখন,বলন, চলন ও কথনের ভাষা। সুতরাং সময় থাকতে ‘সাধু সাবধান’।

লেখক: শিক্ষক, শ্রমিক নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer