ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া : গত কয়েক দিনের চেয়ে বগুড়ার হাটগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বগুড়ার কোরবানির পশুর হাটে আমদানি প্রচুর হলেও সে তুলনায় ক্রেতা ছিলনা। বগুড়াসহ উত্তরের জেলাগুলোতে বন্যার কারণে প্রথম দিকে ক্রেতা একেবারেই কম থাকলেও মঙ্গলবার থেকে বগুড়ার হাটে ক্রেতা এবং কোরবানীর পশুর কেনাবেচা জমে উঠেছে।
ঈদের খুব বেশি দেরি না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কেনাবেচায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গরু ক্রয় করে এক জেলা থেকে অন্য জেলার হাটে বিক্রয় করছে। হাটগুলোতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরের ব্যবসায়ী ও পাইকারদের গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে।
উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ মহাস্থান গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশী জাতের প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। হাটে উন্নত জাতের বড় আকারের গরুও রয়েছে। তবে আমদানি হলেও সে তুলনায় ক্রেতা কম। ফলে চাহিদা মত দামে বিক্রি করতে পারছে না অনেক ব্যাপারী। অনেক গরু ব্যবসায়ীই গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কিছু গরু ব্যবসায়ী এই সুযোগে গরু ছাগল ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এসব পশু ব্যবসায়ীরা জানান, এ অঞ্চলের দেশী জাতের গরু গুলো স্বাস্থ্যবান ও উন্নত। এ কারণে উত্তরাঞ্চলের গরুর কদর রয়েছে। ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার দেশী জাতের গরু উঠেছে মহাস্থান হাটে। ৭ থেকে ১০ মণ ওজনের এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
গরুর পাশাপাশি ছাগলেরও আমদানী হয়েছে হাটে। তবে গরুর হাটের মতই এখানেও ক্রেতা কম। বগুড়ার মহাস্থান, দুবলাগাড়ী মহিষাবান, শেরপুর ও ধাপের হাট সহ বিভিন্ন হাটের ইজারদার গন জানান, বিপুল পরিমান গরু ছাগল হাটে উঠলেও ক্রেতা কম। তবে শেষের দিকে এসে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
বহুমাত্রিক.কম