ঢাকা: এক সময় সৈকতে বসে অনেকে বই পড়তে ভালবাসতেন। কিন্তু এখন মোবাইল ফোন দখল করেছে সে সময়। সৈকতে বসে বা শুয়ে খুব কম মানুষই এখন বই পড়েন।
১৮ থেকে ২৫ বছর বয়স এমন ৭৫ ভাগ মানুষই বলছেন, সৈকতে বসেও তাদের মন পড়ে থাকে মোবাইল ফোনে। এদের মধ্যে এখনো ৪ ভাগ মানুষ সৈকতে বই পড়ার পক্ষপাতি। কিন্তু একই বয়সের প্রতি দশজনের মধ্যে একজন বলছেন, তারা কখনো কোনো উপন্যাস পড়েননি। তবে ৭০ ভাগ মানুষ বলছেন, ছোট লেখা হলে তা তারা পড়তে ভালবাসেন।
অবশ্য তরুণ তরুণীরা আজকাল তাদের মোবাইলফোনের স্ক্রিন দেখতেই ভালবাসেন। আর যদি তা হয় স্মার্ট ফোন তাহলে তো কথাই নেই। বই পড়ার মত দীর্ঘ সময় তারা আর দিতে চান না।
ব্রিটেনে সামসাং কোম্পানির এক জরিপে দেখা গেছে বই পড়েন এমন ২৫ ভাগ মানুষ স্বীকার করেছেন, তারা যা পড়ছেন তা শেষ করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ। একটি বই পড়া শেষ করতে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়। বিশেষত সময়ের বিবেচনায়। বরং মোবাইল ফোনে সংক্ষিপ্ত কিছু পড়তেই তারা সময় দিতে চান। প্রযুক্তি সে সুযোগ করে দিয়েছে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যাপক জন সাদারল্যান্ড বলেন, এ জরিপ আমাদেরকে দেখিয়েছে কিভাবে তরুণ তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝুঁকে পড়েছে। এমনকি অবসরেও তথ্য প্রযুক্তির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তার ঘুরপাক খাচ্ছে। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে আমরা উপন্যাস বা গল্পের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ দেখতে পারব। কারণ তারা তাৎক্ষনিক পরিতৃপ্তি মেটাতে চায়।
সামসাং কোম্পানির কর্মকর্তা কনর পিয়ার্স বলেন, মোবাইল ফোন ছাড়াও ভিডিও বিশেষ করে ফোর জি প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে তাদের দীর্ঘদিনের বই পড়ার অভ্যাসকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। ছুটি কাটাতে যেয়ে অবসরে বই পড়ার মত মনোযোগের ফুরসত তাই অনেকে আর পাচ্ছেন না।-ডেইলি মেইল