ছবি: সংগৃহীত
তিন জাতির ক্রিকেট সিরিজে টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান সুদূর ইউরোপে এসে সবাইকে টেক্কা দিয়ে এরকম একটি সিরিজের টাইটেল স্পন্সর এবং কো স্পন্সর কিনে নিয়েছে এটা একটা বিশাল ব্যাপার।
দূরদর্শী এবং সুদূরপ্রসারী মার্কেটিং পলিসি। বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড মাল্টি ন্যাশনাল ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে; গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে এটা সমস্ত বাংলাদেশিদের জন্য গৌরবের বিষয়। ক্রিকেট পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটনের অবদানকে এই প্রজন্ম নিশ্চয় মূল্যায়ন করবে।
কথাগুলো বললেন, মিস আয়ারল্যান্ড। ২০১৪ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডের সেরা সুন্দরী হয়েছেন। যারা জানেন না, তারা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন এই সুন্দরী কিন্তু বাংলাদেশেরই একজন। আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি। নাম তার মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।
আয়ারল্যান্ডে চলছে ওয়ালটন ট্রাই ন্যাশন ক্রিকেট সিরিজ। যেখানে খেলছে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের পাশের শহর মালাহাইড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার সকালে দেখা প্রিয়তির সঙ্গে। ব্যস্ততার মধ্যেও সকাল সকাল চলে এসেছেন ক্রিকেট মাঠে।
তখন খেলা চলছিল বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে। জিজ্ঞেস করেছিলাম এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ক্রিকেট খেলা দেখতে চলে এসেছেন? প্রশ্ন শুনে প্রিয়তি তো অবাক! বললেন, প্রধানত ওয়ালটনকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। আমি বলব ওয়ালটনও এক অর্থে বাংলাদেশের দূত। ‘মেড ইন বাংলাদেশ‘ অথবা ‘ব্র্যান্ড বাংলাদেশ‘ এর পতাকা তারা নিয়ে যাচ্ছে একদেশ থেকে অন্যদেশে। প্রিয়তি যোগ করেন, ক্রিকেট বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আবার ক্রিকেটকে ব্র্যান্ডিং করতে ওয়ালটন বড় ভূমিকা রাখছে।’
তিনি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের। বলেন, ক্রিকেট এখন বাংলাদেশে একটি নতুন ডাইমেনশন, নতুন ক্রেজ তৈরি করছে। ক্রিকেট দিয়ে সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে। জাতি হিসেবে আমরা অনেক সম্মান অর্জন করছি ক্রিকেট দিয়ে। ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটরাদের পারফরমেন্সে। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনেক বাংলাদেশি মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে; বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ দিতে। প্রিয়তি জানালেন, বাংলাদেশ টিম আয়ারল্যান্ডে এসে খেলছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। মাঠে বসে খেলা দেখার এই সুযোগ আমরা মিস করতে চাই নি।
হসপিটালিটি বক্সের বাইরে পেরিমিটার বোর্ডের কাছে বসে কথা হচ্ছিলো প্রিয়তির সঙ্গে। তার পোশাকের সঙ্গে একটি ব্যাজ, মোটা কাপড়ের। তাতে লেখা ‘মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল।’ বার বার টিভি ক্যামেরা ফলো করছিল তাকে। কিছুক্ষণ পর উঠে গিয়ে বসলেন হসপিটালিটি বক্সের ভেতরে ওয়ালটনের টেবিলে।
প্রিয়তি জানালেন, তার জন্ম বাংলাদেশে। ১০ বছর বয়সে চলে আসেন আয়ারল্যান্ডে। বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স করেছেন। এরপর পড়াশোনা করেন ফ্লাইং কোর্স। কাজ করছেন পাইলট বা ফ্লাইট ইন্সট্রাকটর হিসেবে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা খুব পছন্দ করেন। মডেলিং করেন বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডে। মিস আয়ারল্যান্ড আর্থ খেতাব জেতেন ২০১৪ সালে। সেরা আইরিশ মডেলের খেতাব জেতেন ২০১৬ সালে। আইরিশ ট্যালেন্ট সার্চ এর বিচারক মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।
প্রিয়তি জানালেন, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসছেন। এখানে কিছু কাজ করবেন। বললেন, যেখানেই থাকি না কেন, দেশকে খুব মিস করি। আই লাভ বাংলাদেশ।
লেখক : ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর
রাইজিংবিডি ডটকম’র সৌজন্যে
বহুমাত্রিক.কম