ঈদুল ফিতর "রোজা ভাঙার দিবস" ইসলাম ধর্মাবলম্বীদর দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল ফিতর আর দ্বিতীয়টি হল ঈদুল আজহা। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সাথে পালন করে থাকে।
ঈদ মোবারক হল মুসলিমদের একটি ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাবাক্য যেটি তারা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় পরস্পরকে বলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে থাকেন। ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা উদযাপন। আর মোবারক শব্দের অর্থ কল্যাণময়। সুতরাং ঈদ মোবারকের অর্থ হল ঈদ বা আনন্দ উদযাপন কল্যাণময় হোক। কিছু রাষ্ট্রে এই শুভেচ্ছা বিনিময় একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কোন ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার অংশ নয়। তবে, এই শুভেচ্ছাবাক্যটি শুধুমাত্র এই দুই মুসলিম উৎসবের সময় ব্যবহৃত হয়।
মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অন্যান্য অনেক শুভেচ্ছাবাক্য রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) সাহাবীদের সাথে সাক্ষাতের সময় একে অপরকে বলতেন ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন)।
‘আলেয়া’ চলচ্চিত্রের প্রয়োজক প্রদীপ চুড়িয়াল ও ডিরেক্টর ড. হুমায়ুন কবীর উদ্যোগ নিয়ে ২৮ রমজান বুধবার দাওয়াতে-ই-ইফতার ও স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পার্কসার্কাস হজ হাউসে। ডাক্তারি পড়ছে এমন গরিব ১০ জন ছাত্রীকে সাত হাজার সাতশত ছিয়াশি টাকা (৭,৭৮৬) করে স্কলারশিপ প্রদান করে ঈদের আগে ওদের মুখে হাসি ফোটালেন। এই মহতী অনুষ্ঠানে সমাজসেবী শাজাহান বিশ্বাস, আল-আমীন মিশনের সম্পাদক সেখ নরুল ইসলাম, আইএএস অফিসার সেখ নুরুল হক, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজ্যসভার দুই সাংসদ নাদিমুল হক ও আহমেদ হাসান ইমরান, সমাজসেবী জাহাঙ্গীর আলম, “আলেয়া” চলচ্চিত্রের প্রয়োজক প্রদীপ চুড়িয়াল, ওই সিনেমার নায়িকা তনুশ্রী চক্রবর্তী, পরিচালক ও দক্ষ পুলিশ আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীর সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম বাংলার প্রান্তিক পরিবারের কন্যারা চিকিৎসক হওয়ার পথে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার নাজির পুরের নিলুফা ইয়াসমিন ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত ডাক্তার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সে আযহা ও ঈদুল ফিতরে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অন্যান্য অনেক শুভেচ্ছাবাক্য রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় নবী মুহাম্মদ সাহাবীদের সাথে সাক্ষাতের সময় একে অপরকে‘আলেয়া’ চলচ্চিত্রের প্রয়োজক প্রদীপ চুড়িয়াল ও ডিরেক্টর ড. হুমায়ুন কবীর উদ্যোগ নিয়ে ২৮ রমজান বুধবার দাওয়াতে-ই-ইফতার ও স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পার্কসার্কাস হজ হাউসে। ডাক্তারি পড়ছে এমন গরিব ১০ জন ছাত্রীকে সাত হাজার সাতশত ছিঁয়াশি টাকা (৭,৭৮৬) করে স্কলারশিপ প্রদান করে ঈদের আগে ওদের মুখে হাসি ফোটালেন। এই মহতী অনুষ্ঠানে সমাজসেবী শাজাহান বিশ্বাস, আল-আমীন মিশনের সম্পাদক সেখ নরুল ইসলাম, আইএএস অফিসার সেখ নুরুল হক, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজ্যসভার দুই সাংসদ নাদদিমুল হক ও আহমেদ হাসান ইমরান, সমাজসেবী জাহাঙ্গীর আলম, “আলেয়া” চলচ্চিত্রের প্রয়োজক প্রদীপ চুড়িয়াল, ওই সিনেমার নায়িকা তনুশ্রী চক্রবর্তী, পরিচালক ও দক্ষ পুলিশ আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীর সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম বাংলার প্রান্তিক পরিবারের কন্যারা চিকিৎসক হওয়ার পথে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার নাজির পুরের নিলুফা ইয়াসমিন ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত ডাক্তার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সে আজ নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ওই জেলার লালগোলা থানার ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত সাইদুল ইসলামের কন্যা পায়রা খাতুন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বেলডাঙা ব্লকের দেবকুন্ডু গ্রামের নাহিদা খাতুন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। ফরাক্কার মহাদেবনগরের প্রয়াত নুরুল আলমের কন্যা মিমি খাতুন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের প্রথম বর্ষে পাঠরত। হরিহরপাড়ার খিদিরপুরের নাসরিন সুলতানা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বর্ধমান জেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের প্রয়াত শেখ নজর আলির কন্যা মেহেরুন্নেসা খাতুন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। এই জেলারই সোনাডাঙার রুবিনা খাতুন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ব্লকের ডিহি কলস গ্রামের মহম্মদ আব্বাস আলি গাজির কন্যা রাকিবা সুলতানা কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত। বীরভুম জেলার মুরারই থানার হামিদপুর গ্রামের হেলিনা খাতুন এন আর এস মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। হুগলী জেলার গোঘাট থানার তানরুই গ্রামের রিজিয়া পারভিন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এরা সকলেই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এমবিবিএস-এর ছাত্রী। এদের পরিবারে এরাই প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার হতে চলেছে। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক সংখ্যালঘু পরিবারের এই সব মেয়েরা নিজেদের অদম্য জেদ ও অধ্যাবসায়কে সম্বল করে সাফল্য অর্জন করেছে। এদের কারও বাবা সামান্য কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী এবং পিতৃহীন পরিবারে বিধবা মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় তারা এতদূর এগিয়ে এসেছে। এ-প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় আল-আমীন মিশনের অফুরন্ত অবদানের কথা সেইসঙ্গেই উঠে আসে জিডির কর্ণধার মোস্তাক হোসেন আর “ভয়েস” এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবী শাজাহান বিশ্বাসদের দুহাতে দান করার প্রয়াস এবং তাদের কথা বাংলার মানুষ ভুলবে না। স্বাধিনতার পর নতুন ইতিহাসের সূচনা করলেন এবং শিক্ষা প্রসারে দরিদ্র ঘরে ঘরে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার মধ্য দিয়ে যেন ঈদের আনন্দ ও খুশি পৌঁছে দিতে মোস্তাক হোসেনরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে পিছিয়ে পড়াদের আধুনিক শিক্ষা স্রোতে আনার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই সব ছাত্রীদের সামান্য ফিজ বা একেবারে নামমাত্র ফীজে আবাসিক হিসেবে ভর্তি করিয়ে তাদেরকে ডাক্তারি, ইনজিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানোর প্রক্রিয়া বিদ্যমান। সম্প্রতি এই ১০ জন দরিদ্র ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে ড. হুমায়ুন কবীর উদ্যোগ নিয়ে `আলেয়া` প্রডাকশন হাউস থেকে স্কলারশিপ প্রদান করে তিনি এই বার্তা দিলেন পার্কসার্কাস হজ হাউসে ঈদের পর ঈদ মিলন উৎসবে "নব চেতনা" এই সামাজিক সংগঠোনের মাধ্যমে আরও ১০০ জন দরিদ্র ও মেধাবীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। আমরা একে অপরে একটু হাত বাড়িয়ে আমাদের পিছিয়ে রাখা প্রতিবেশীকে যদি তুলে আনতে পারি তবেই আমাদের ঈদ হয়ে উঠবে সার্বজনীন ও মহা আনন্দের খুশির ঈদ। মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ওই জেলার লালগোলা থানার ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত সাইদুল ইসলামের কন্যা পায়রা খাতুন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বেলডাঙা ব্লকের দেবকুন্ডু গ্রামের নাহিদা খাতুন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। ফরাক্কার মহাদেবনগরের প্রয়াত নুরুল আলমের কন্যা মিমি খাতুন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের প্রথম বর্ষে পাঠরত। হরিহরপাড়ার খিদিরপুরের নাসরিন সুলতানা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বর্ধমান জেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের প্রয়াত শেখ নজর আলির কন্যা মেহেরুন্নেসা খাতুন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। এই জেলারই সোনাডাঙার রুবিনা খাতুন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ব্লকের ডিহি কলস গ্রামের মহম্মদ আব্বাস আলি গাজির কন্যা রাকিবা সুলতানা কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত। বীরভুম জেলার মুরারই থানার হামিদপুর গ্রামের হেলিনা খাতুন এন আর এস মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছত্রী। হুগলী জেলার গোঘাট থানার তানরুই গ্রামের রিজিয়া পারভিন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এরা সকলেই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এমবিবিএস-এর ছাত্রী। এদের পরিবারে এরাই প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার হতে চলেছে। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক সংখ্যালঘু পরিবারের এই সব মেয়েরা নিজেদের অদম্য জেদ ও অধ্যাবসায়কে সম্বল করে সাফল্য অর্জন করেছে। এদের কারও বাবা সামান্য কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী এবং পিতৃহীন পরিবারে বিধবা মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় তারা এতদূর এগিয়ে এসেছে। আগাবীতে সমাজ গড়তে এবং পিছিয়ে রাখা সমাজকে তুলে আনতে এই ছাত্রীরাও কাজ করবে।
এ-প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় আল-আমীন মিশনের অফুরন্ত অবদানের কথা সেইসঙ্গেই উঠে আসে জিডি স্টাডি সার্কেল ও পতাকার কর্ণধার মোস্তাক হোসেন অফুরন্ত সাহায্যের কথা। আর “ভয়েস” এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবী শাজাহান বিশ্বাসরাও দুহাতে দান করার প্রয়াস নিয়েছেন বলেই মুসলিম সমাজ কিছুটা এগিয়েছে স্বাধিনতার পর। তাদের এই অবদানের কথা বাংলার মানুষ ভুলবে না। স্বাধীনতার পর নতুন ইতিহাসের সূচনা করলেন মোস্তাক হোসেন শিক্ষা প্রসারে জন্য তিনি দরিদ্র ঘরের প্রতিভাদের তুলে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এইসব দরিদ্র প্রতিভাদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার মধ্য দিয়ে তিনি নতুন সমাজ গড়ছেন।
মোস্তাক হোসেনরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে পিছিয়ে পড়াদের আধুনিক শিক্ষা স্রোতে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন, যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই সব ছাত্রীদের সামান্য ফিজ বা একেবারে নামমাত্র ফীজে আবাসিক হিসেবে ভর্তি করিয়ে তাদেরকে ডাক্তারি, ইনজিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানোর প্রক্রিয়া বিদ্যমান।
১০ জন দরিদ্র ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে ড. হুমায়ুন কবীর উদ্যোগ নিয়ে `আলেয়া` প্রডাকশন হাউস থেকে স্কলারশিপ প্রদান করে তিনি এই বার্তা দিলেন পার্কসার্কাস হজ হাউসে থেকে ঈদের পর ঈদ মিলন উৎসবে "নব চেতনা" নামক সামাজিক সংগঠোনের মাধ্যমে আরও ১০০ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দেবেন। আমরা একে অপরে দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই এবং অগ্নিশপথ নিই আমাদের পিছিয়ে রাখা প্রতিবেশীকে বাঁচার আকাশে তুলে আনব, তবেই আমাদের ঈদ হয়ে উঠবে সার্বজনীন ও মহা আনন্দের সবার খুশির ঈদ।
লেখক : সম্পাদক, উদার আকাশ; কলকাতা-পশ্চিমবঙ্গ।
বহুমাত্রিক.কম