কাল সন্ধ্যা সাতটা তেত্রিশ মিনিটে আমি মারা গেছি
আমার মারা যাবার কোনো সম্ভাবনা ছিল না ।
উচ্চ রক্তচাপ,হৃদযন্ত্রের সমস্যা কোনটাই ছিল না ।
ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য জীবনবীমা করেছি,
গোলাপ বাগান করেছি,
কখনো রেইন ফরেস্টে ঘন্টার পর ঘন্টা পাখপাখালিদের ঘর সংসার দেখেছি ।
মরবার কোনো বিলাসী সাধও আমার কখনো ছিল না ।
নরোম আর্তনাদ খান খান করে জেগে ওঠে যখন মধ্য
দুপুরে
আসন্ন আষাঢ়ের আসন্ন প্রথম পূর্ণিমায় আমার লাশ পরে থাকে
এই আশ্চর্য বালুচর সংসারে ।
মাছের চোখের মতো তাকাতে তাকাতে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছো,
তুমি আমার শবদেহের সামনে শোকবাণী উচ্চারণ
করছো
খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছে বিষণ্ণ হরপ্পা হরফে ।
নিপুণ সভ্যতায় তোমার চোখে শোকার্ত কালো চশমা তোমার
দ্রাবিড় শরীরে অতীতের কোমল বাকুম তিল
তিল সংসার তাকাও,
দেখো আমার লাশ শুয়ে আছে তোমার কুসুমিত মেঝেতে ।
চারপাশের পিপাসার দুপুর ..আমি দেখতে পাচ্ছিনা তুমি
কাঁদছো কি না !
পৃথিবী চলছে নবীন মেঘে কবিতার খোকন
গোলাপি খুকি ও পাড়ার শাহীন মোটাসোটা নায়িকা
সর্দি লেগে থাকা সাংসদ, চশমা চোখে নীলুফার
ফরমালিন বিক্রেতা,
গোয়ালন্দের সর্দারনী, রাম শাম যদু মধু রহিম সবাই
চলছে ।
সবাই হুমহুম করে হেঁটে যাচ্ছে ।
কোথাও কেউ থেমে নেই .., মৃত মানুষের আটচালা নেই
কোনো সহায় নেই জেনো শোনো, তোমার সামনে লাশ হয়ে
আছি ..
কোথায় রাখবে বলো এ শব ? শুইয়ে দাও না আমাকে
অপরাহ্ণ সুসমিতো: বাংলাদেশে বছর পাঁচেক ম্যাজিস্ট্রেসি করেছেন । বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে সেলফোন কোম্পানিতে কর্মরত।
বহুমাত্রিক.কম